পেনশনের নামে টাকা চুরির নতুন ফন্দি বের করেছে আ. লীগ সরকার: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৩, ১৭:০৯

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: হাসান শিকদার
পেনশনের নামে আওয়ামী লীগ সরকার টাকা চুরির আরেকটা নতুন ফন্দি বের করেছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এরা নাকি পেনশন ভাতা দেবে! এরা টাকা চুরি করার আরেকটা নতুন ফন্দি করছে। সেই টাকা চুরি করে ভোট করবে এরা।
আজ শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দয়াগঞ্জ থেকে গণমিছিল শুরু হয়ে সায়েদাবাদ ব্রিজ, ধলপুর কমিউনিটি সেন্টার, গোলাপবাগ, কমলাপুর, বৌদ্ধমন্দির হয়ে খিলগাঁও এসে মিছিলটি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক, ভোটের, কথা বলার, বাঁচার অধিকার দাও। তেল, ডালসহ নিত্যপণ্যের দাম কমাও। এটাই আমাদের দাবি।
তিনি বলেন, আজ সারাদেশকে এই আওয়ামী লীগ কারাগারে পরিণত করেছে। কেন আটক করে? বলেন তো, ভয়ে। ভয়ে আওয়ামী লীগের মুখ শুকিয়ে গেছে। তারা যে টাকা পাচার করেছে তা নিয়ে চিন্তায় আছে। অবস্থা এখন আরো খারাপ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশকে নিয়ে শুনানি দাবি করছে সে দেশের সংস্থাগুলো।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কোনো দিকেই পথ নেই, উত্তরে উচ্চাঙ্গ পর্বতমালা আর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, কোনো দিকে ওদের যাওয়ার আর পথ নেই। আর কোনো সময় নেই। মানে এখনি পদত্যাগ করো। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাও, সংসদ বিলুপ্ত করো, নতুন নির্বাচন কমিশন করে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করো।
সরকারি দলের নেতাদের দিকে ইঙ্গিত করে ফখরুল বলেন, ‘আজকে শেখ হাসিনা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের কথা বলছেন। কোন সংবিধান? যে সংবিধান কাটাছেঁড়া করে শেষ করা হয়েছে। ভয়ে তাদের মুখ শুকিয়ে গেছে। এখন আর টেলিভিশনে চকচকে মুখ দেখা যায় না। চকচকে কাপড় পরে সামনে আসে না।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ র্যাব হায়েনার মতো হমলা করছে। গ্রেফতার করেছে। আমাদের অনেক ভাই জীবন দিয়েছেন, তাদের রক্তকে আমরা বৃথা যেতে দেব না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শেখ হাসিনার সময় শেষ। এখন তিনি কীভাবে বিদায় নেবেন সেটা তাকে ভাবতে হবে। তাকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া হবে না।