Logo
×

Follow Us

রাজনীতি

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালুর দাবিতে বাসদের বিক্ষোভ সমাবেশ

Icon

সিনিয়র রিপোর্টার

প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫:০৬

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালুর দাবিতে বাসদের বিক্ষোভ সমাবেশ

বাসদের বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল

ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া, নির্বাচন কমিশন বাতিল ও নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালুর দাবিতে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নিখিল দাস, জনার্দন দত্ত নান্টু ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জুলফিকার আলী।

সমাবেশে কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, সামনে সাংবিধানিকবিধি মোতাবেক আগামী তিন বা সাড়ে তিন মাস পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু দেশের অংশীজন এখনও ঘোর অন্ধকারের মধ্যে আছে। বর্তমান ক্ষমতাসীন দল অংশীজনের দাবি অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার বিষয়ক মতামতের কোন তোয়াক্কা না করে নিজেদের মতো করে নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। অর্থাৎ দলীয় সরকারের অধীনে একতরফা নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে।

তিনি বলেন, এদেশের জনগণ জানে, স্বাধীনতাত্তোর এ যাবৎকালে ১১টি সংসদ নির্বাচন হয়েছে। এর কোনটাই জনগণের ক্ষমতায়নের ভিত্তিভূমির উপর গণতান্ত্রিক শাসন-প্রশাসনের ক্ষেত্র রচনা করতে সক্ষম হয়নি। একটার পর একটা নির্বাচন জনগণের ক্ষমতায়নের বদলে জনগণকে ক্রমাগত ক্ষমতাহীন করে লুটেরা ক্ষুদ্র একটা গোষ্ঠিকে মহা ক্ষমতাধর করে তুলেছে। জনপ্রতিনিধিত্বের বদলে তারা জনগণের প্রতিপালকের ভূমিকা নিয়ে চলেছে। গণতন্ত্রহীন রাষ্ট্র শাসন ব্যবস্থা স্থায়ীত্ব পেয়েছে।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, অতীতের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মত সাইবার নিরাপত্তা আইনটিও সমালোচনা, ভিন্নমত ও মুক্তচিন্তা দমনের ক্ষেত্রে সরকারের হাতে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। আইনের ৪২ ধারায় পুলিসকে বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেপ্তার, ২৭ ও ৩২ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ১ কোটি টাকা জরিমানা এবং ১৪ বছর কারাদন্ডের বিধান, ২৮ ধারায় (ঘৃণ্য ব্লাসফেমি আইনের নবসংস্করণ) ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতের শাস্তির নামে ২ বছরের জেল ও ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান বাস্তবে সাংবাদিক ও সচেতন মানুষদের হয়রানির কাজে ব্যবহৃত হবে। ফলে সাইবার নিরাপত্তা নয়, ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতা নিরুপদ্রব করাই এ আইন পাশ করার অন্যতম উদ্দেশ্য।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতই অপরাধ চিহ্নিত করা ও হয়রানি করার সকল বিধান সন্নিবেশিত আছে এই আইনে। আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৪ সালের নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার প্রণীত আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারা ব্যবহার করেছিল, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি করে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রণয়ন করেছিল আর আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে জনমত উপেক্ষা করে একই রকম নিবর্তনমূলক সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট পাশ করা হলো।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগ করে তদারকি সরকারের অধীনে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন এবং সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ সকল নিবর্তনমূলক কালা-কানুন বাতিলের দাবিতে গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সকল প্রগতিশীল গণতন্ত্রমনা দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫