
ড. আবদুল মঈন খান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, যতক্ষণ না দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ফিরিয়ে দিতে না পারব ততক্ষণ পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না। গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলতেই থাকবে।
আজ শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে ‘প্রহসনের নির্বাচন মানি না, গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষর’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। বক্তব্যে শেষে ড. মঈন খান সবাইকে নিয়ে স্বাক্ষর করেন।
মঈন খান বলেন, এই সরকার কোনোদিন জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না। এ দেশ সৃষ্টি হয়েছিলো গণতন্ত্র ও দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। আজকে এই সরকারকে প্রশ্ন করতে চাই, এই সরকার নিজেদের দাবি করে তারা নাকি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। যে সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করে এবং সমস্ত সম্পদ কুক্ষিগত করে একটি অলিগার্কি তৈরি করে, সেই সরকার কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হতে পারে?
তিনি আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, দেশে গণতন্ত্র ছাড়া অন্য কোনো পদ্ধতি চলবে না। এই সরকার গায়ের জোরে এবং বন্দুকের নলের জোরে ক্ষমতায় আছে। আজকে শুধু আমরা এ কথা বলছি না, বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়া ও রাষ্ট্রের বক্তব্য দেখুন। এই প্রহসনের নির্বাচন সম্পর্কে বিগত কয়েক বছর ধরে আমরা বিরোধী দলগুলো যেসব কথা বলে এসেছি, তারা সেই কথার প্রতিধ্বনি করছে। সুতরাং দেশ ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত যে, আজকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র মৃত। তাই আমাদের একটি মাত্র প্রতিজ্ঞা- আমরা দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব।
উল্লেখ্য, এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।