সাংবাদিকদের সেল্ফ সেন্সরশিপে বাধ্য করার প্রয়াস চলছে: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ মে ২০২০, ১৯:২৫

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কর্মহীন দুস্থদের ত্রাণ বিতরণে ক্ষমতার সাথে সংশ্লিষ্টদের দুর্নীতির-সংবাদ সংগ্রহ ও প্রকাশে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্নভাবে বাধা, হয়রানি ও নির্যাতন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যথেচ্ছ অপপ্রয়োগের মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত রাখা ও সাংবাদিকদের সেল্ফ সেন্সরশিপে বাধ্য করার প্রয়াস চলছে।
রবিবার (৩ মে) দলের সহ দফতর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। প্রতি বছর ৩ মে সারা বিশ্বে এই দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। দুনিয়াজুড়ে করোনাভাইরাসের এই দুর্যোগে মানবজাতি হতচকিত। এই ভয়াল পরিবেশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন সাংবাদিকরা। বাংলাদেশে এই দিবসটির গুরুত্ব খুবই অর্থবহ।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সঙ্গে জড়িয়ে আছে মানব প্রগতির ধারা। জীবন ও জগতকে জানার স্বাধীনতা থেকেই জন্ম নেয় চিন্তার স্বাধীনতা। চিন্তার স্বাধীনতার কারণে মানবজাতির উৎকর্ষতা ও অগ্রগতি নিশ্চিত হয়েছে। চিন্তার স্বাধীনতার বাহনই হচ্ছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা।
ফখরুল বলেন, তাই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সর্বজনীন এক দাবি। সুতরাং গণতন্ত্র, মানবতা, ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সাংবাদিকতার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার শপথ গ্রহণ করতে হবে। এ বছরের ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডমের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘ভয় বা পক্ষপাতিত্ববিহীন সাংবাদিকতা’। এবারের এই স্লোগানটিকে ঘিরে বাংলাদেশে গড়ে উঠুক ভয়ভীতিহীন স্বাধীন সাংবাদিকতার ভিত্তিভূমি। তবে নানামুখী চাপ সত্ত্বেও এবং নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে বাংলাদেশের অকুতোভয় সাংবাদিকরা। ভয়াবহ মরণঘাতী করোনা দুর্যোগেও জীবনের ঝুঁকি উপেক্ষা করেই নাগরিকদের বস্তুনিষ্ঠ তথ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিতে ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সাহসী ভূমিকা পালন করছেন তারা। ইতিমধ্যে কোভিড-১৯ এ দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক হুমায়ুন কবির খোকন মারা গেছেন। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। ইতোমধ্যে অনেক সাংবাদিক আক্রান্ত হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকদের গ্রেফতার ও মামলা দেয়া হচ্ছে। হামলা করা হচ্ছে। আমি এই নিবর্তনমূলক আচরণের নিন্দা জ্ঞাপন করছি। একই সঙ্গে গণমাধ্যম সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যনিরাপত্তা এবং নিয়মিত বেতন-ভাতার পাশাপাশি আপদকালীন ঝুঁকি ভাতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমি বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস এর সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করছি।