চক্রান্ত করে পার্বত্য জেলাগুলোয় সংঘাত সৃষ্টি করা হচ্ছে: বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:১২

বিএনপির লোগো। ফাইল ছবি
পার্বত্য জেলাগুলোতে উদ্ভুত সংঘাতের ঘটনাগুলোতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি। গত ২৩ সেপ্টেম্বর (সোমবার) রাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির গুলশান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত নিয়ে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল করার সুদূর প্রসারী চক্রান্তের অংশ হিসাবে পার্বত্য জেলাগুলোতে এই ধরনের সংঘাতের সৃষ্টি করা হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ রূপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই ঘটনা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ। এই ঘটনাগুলো হালকা করে দেখার কোন সুযোগ নেই। সভা মনে, করে পার্বত্য জেলা গুলোতে শান্তি স্থাপনের জন্য দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল, পার্বত্য জেলায় সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের একটি জাতীয় কনভেনশন আহ্বান করা জরুরি। সভায়, এই লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়- পতিত ফ্যাসীবাদ ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্য পরিকল্পিতভাবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাজারে হামলা, ভাংচুর ও ‘মবলিংচিং’ এর মত ঘটনা ঘটিয়ে শিল্পাঞ্চল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সভা মনে করে, এ বিষয়ে সরকারের উদ্যোগে সকল গণ-মাধ্যমে জন সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল গুলোর প্রচার প্রচারণা বাড়ানো প্রয়োজন। সভা, এই সব সমাজ বিরোধী এবং ঐক্য বিনাসী কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানায় এবং অবিলম্বে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা জরুরী।
এছাড়া, বিএনপির ওই সভায় সম্প্রতি ‘বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করা হবে’ বলে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যে হুমকি দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা করা হয় এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য অন্তরায় হিসাবে কাজ করার বিষয় ভারতীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও নেতৃবৃন্দকে এই ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়। ওই সভা থেকে ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকারের আমলে গঠিত ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল করার আহ্বান জানানো হয়।
এসময় ইউনিয়ন পরিষদ বহাল রেখে অবাধ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলেও একমত পোষণ করেন বিএনপি নেতারা।
উল্লেখ্য, ২৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিষ্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, জনাব ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বীর বিক্রম ও অধ্যাপক ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন।