জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় এলে নারীদের বোরকা পরতে বাধ্য করানোর মিথ্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।

তিনি বলেছেন, অনেকে অপপ্রচার করে বেড়ায় যে, এরা (জামায়াতে ইসলাম) ক্ষমতায় গেলে তোমাদের ঘর হতে বের হতে দেবে না। আর জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে কালো বোরকা পরাবে। এমনই মিথ্যাচার করা হয় আমাদের বিরুদ্ধে। আমরা কারও ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়ার অধিকার রাখি না।

আজ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে নীলফামারী জেলা জামায়াত ইসলামী আয়োজিত জেলা শহরের পৌরসভা মাঠে কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন  আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই যে সমাজের উন্নয়নে নারীরা অবদান রাখবে। আপনারা মায়ের, বোনের মর্যাদায় রাখবেন। আপনার মেয়েকে মর্যাদায় রাখবেন। তারা যেন ইজ্জত রক্ষার পাশাপাশি নিরাপত্তার সঙ্গে তারা জাতি গঠনে অবদান রাখতে পারে।

দলের নেতাকর্মীদের আইন লঙ্ঘন না করার নির্দেশনা দিয়ে জামায়াতের আমির  বলেন, বিগত দিনেও জামায়াত কোনো অন্যায় করেনি যেমন তেমনি জামায়াত কোনো অন্যায় করবে না, অত্যাচার করবে না। মানুষের ক্ষতি করবে না। যেখানে অন্যায় দেখবেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে খবর দেবেন।

শফিকুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই বিডিআর বিদ্রোহের নামে মেধাবী সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয় পরিকল্পিতভাবে। শেখ হাসিনার নিদের্শেই এটি করা হয়। গত ১৫ বছরে যত অন্যায় অত্যাচার জুলুম করা হয়েছে তা ছিল শেখ হাসিনার মদদেই।

ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, দেশের এই উত্তরাঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ছিল। জামায়াতে ইসলামী মনে করে, এই অঞ্চলের মানুষের ঋণ পরিশোধ করা আমাদের দায়িত্ব। আমরা কোনোদিনও উত্তরবঙ্গের মানুষের উন্নয়নকে উপেক্ষা করব না, আমরা তাদের পাশে আছি।

জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে সভায় কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন। এ ছাড়া বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার।