
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। ছবি: সংগৃহীত
যারা গণতন্ত্র ও নির্বাচন আড়াল করতে চায় তারা পক্ষান্তরে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে চিহ্নিত হবে বলে মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, চারদিকে এক ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রে পা দেওয়া যাবে না। ধৈর্যের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে তৈরি থাকতে হবে।
আজ রবিবার (১০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জাতীয় নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনা, জুলাই গণঅভ্যুত্থান প্রেক্ষিত আজকের বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তারেক রহমান বিচক্ষণতার সঙ্গে বলেছেন এই সরকারের ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এজন্য এই সরকারকে আমরা সহযোগিতা করছি। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর আগ পর্যন্ত আমাদের তৈরি থাকতে হবে।
দুদু বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, স্বাধীনতা ও সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম সেই স্বাধীনতা, গণতন্ত্র নিজের হাত দিয়ে কবরস্থ করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। রক্ষী বাহিনী দিয়ে প্রায় ৪০ হাজারের ওপরে বিরোধী দলীয় নেতাকে হত্যা করেছে। গুম-খুন তখনই শুরু হয়েছে। ১৯৭৩ সালে নির্বাচনী ব্যবস্থা একেবারে ধ্বংস করে ফেলেছিলেন তিনি। দুর্ভিক্ষ হয়ে পথে-ঘাটে লাখ লাখ মানুষ মারা গেছে। শেখ হাসিনা তার বাবার আমলকে ভোলানোর জন্য সংবিধানে বিশেষ আইন তৈরি করেছেন এবং এ দেশের শিশু-কিশোরদের ভুল ইতিহাস শিক্ষা দিয়েছেন।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, এ দেশের মানুষ দীর্ঘ ১৬ বছর লড়াই সংগ্রাম করেছে। কত মায়ের বুক খালি হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ এখনও নিখোঁজ। দীর্ঘ ১৬ বছর লড়াই-সংগ্রাম করার পর এ দেশের জনগণ এখন সফল হয়েছে। তবে যতদিন না মানুষের অধিকার, ভোটের অধিকার, গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে পারবো না ততদিন পর্যন্ত গণতান্ত্রিক আন্দোলন শেষ হয়েছে এটা বলা যাবে না।
জাতীয় নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব তোফায়েল আহমেদ কায়সারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাসাসের সাবেক সভাপতি রেজাবুদ্দোলা, কৃষক দল নেতা এস কে সাদী, এস এম মিজানুর রহমান, কালাম ফরাজী প্রমুখ।