ভারতকে ক্ষমা চাইতে বলল জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৭

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের মানববন্ধন। ফাইল ছবি
আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনে হামলার ঘটনায় ভারতকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল।
আজ ৯ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ ও ভারতের দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিবদ্বয়ের বৈঠককে সামনে রেখে এক বিবৃতিতে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম বলেন, ‘এই বৈঠকে অবশ্যই ভারতের পররাষ্ট্র সচিবকে কলকাতা ও আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়া ও জেনেভা কনভেশন লংঘন হওয়ার ঘটনার জন্য ভারতকে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাইতে হবে।’
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ভারতের কাছে শক্তভাবে জানতে চাইতে হবে যে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায় কি, চায় না? জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যাকারী,পতিত ফ্যাসিস্ট বেঈমান শেখ হাসিনা ভারতের কোলে বসে বাংলাদেশ বিরোধী রাজনৈতিক তৎপরতা চালানোর মদদ পায় কোত্থেকে? সীমান্তে ভারতের বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশের নাগরিক হত্যার নিয়মিত ঘটনার মানে কি সেখানে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে? বিএসএফ-কে ভারত সরকার যেহেতু দায়মুক্তি দিয়ে রেখেছে সেজন্য বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে শরণাপন্ন হতে হবে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ছাত্র শ্রমিক জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার উচ্ছেদ হয়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়ার পরে ভারতের গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে অব্যাহতভাবে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রপাগান্ডা করা হচ্ছে,বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে ইতিমধ্যে সেই অপচেষ্টায় চট্টগ্রামে আদালত প্রাঙ্গনে একজন তরুণ আইনজীবীকে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা জয়শ্রী রাম শ্লোগান তুলে বর্বরোচিতভাবে হত্যা করেছে। এসব অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।বাংলাদেশ সরকার মুসলমানদের যেমন হেফাজত করছে তেমনি হিন্দু সম্প্রদায়সহ অপরাপর সম্প্রদায়ের হেফাজত করে চলেছে। বাংলাদেশের হিন্দুরা ভারতের নাগরিক নন,তারা বাংলাদেশের নাগরিক। এনিয়ে ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
বিবৃতিতে ভারতের সাথে সম্পাদিত সকল অসম ও অধীনতামূলক চুক্তি, এমওআই বাতিলের দাবি জানানো হয়।