বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, শেখ হাসিনা গণহত্যা, বিডিআর ও ছাত্র-জনতা হত্যার আসামি, আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে। আর বিচারের মাধ্যমে আদালতই তাকে দেশে আনবে।

আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের দিশা হলরুমে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি এবং সকল ইউনিটের কাউন্সিল সফল করার লক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

ভারত ইস্যূ নিয়ে তিনি বলেন, ভারত আমাদের জাতীয় পতাকা পুড়িয়েছে। পতাকা অবমাননা করেছে। আর এই ইস্যূ নিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশে জাতীয় ঐক্য গঠিত হয়েছে। ভারত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয়াকে কেন্দ্র করে যে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে ঐক্যবদ্ধভাবেই আমরা তা মোকাবিলা করবো।

তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলকে সংগঠিত করা হচ্ছে। সেই লক্ষ্যে সারাদেশে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে কুষ্টিয়ায় জেলা বিএনপি এবং সকল ইউনিটের সম্মেলন সম্পন্নে মতবিনিময় করা হয়েছে। সেখানে দলের নেতাকর্মীদের পরিষ্কার বার্তাও দেয়া হয়েছে। কোন বিভেদ নয়, ত্যাগী যোগ্য নেতাকর্মীদের ওপর আস্থা রাখার। এসময় আওয়ামী লীগের কোনো দোসর বিএনপির কোনো কমিটি থাকতে পারবে না বলেও জানান তিনি।

আমান উল্লাহ আমান বলেন, নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে দেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। দেশপ্রেমী বাংলাদেশী হিসেবে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে। দলকে চাঙ্গা করতে কমিটিতে নতুনদের সুযোগ করে দিতে হবে। নতুনদের সুযোগ দিলে দল আরো চাঙ্গা হওয়ার পাশাপাশি নেতা-কর্মীদের মাঝে উৎসাহ তৈরি হবে।

তিনি বলেন, বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির ঘাটি। শহীদ জিয়াউর রহমান এই জেলাকে যেভাবে ভালোবাসতেন তেমনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দরদ রয়েছে। অদৃশ্য শক্তি দেশকে অরজাকতার দিকে ঠেলে দিতে ষড়যন্ত্র করছে। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব জাকির হোসেন সরকারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি অধ্যক্ষ সোহরাবউদ্দিন, সাবেক জেলা সভাপতি ও সাবেক এমপি অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, সাবেক এমপি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ফরিদা রহমান প্রমুখ।