বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে ভয়াবহ ও নজিরবিহীন অগ্নিকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর গুরুত্বপূর্ণ নথি ও অবকাঠামো পুড়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি । 

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন। 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘সচিবালয়ের মতো একটি নিরাপত্তাবেষ্টিত স্থানে এই ধরণের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পতিত ফ্যাসিবাদি শক্তিদের ষড়যন্ত্র। এই ঘটনায় দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির যথেষ্ট অবনতির চিত্র ফুটে উঠেছে।’

অগ্নিকাণ্ডের এমন ঘটনার পরে দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি জানানো হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে। এছাড়া, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সুষ্ঠু ও বস্তুনিষ্ঠ তদন্তপূর্বক বিচারের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানায় জাতীয় নাগরিক কমিটি। 

এছাড়াও, অগ্নি নির্বাপণ করতে গিয়ে সোয়ানুর জামান নামক ফায়ার সার্ভিস সদস্যের ট্রাক চাপায় মৃত্যুতে গভীর শোক এবং নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক কমিটি। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ‘আমরা চরম উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট নানা মহল থেকে জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও সংস্কার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন চূড়ান্ত ও পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশের পূর্বেই পদোন্নতিতে কোটা সংক্রান্ত সুপারিশ গণমাধ্যমে প্রকাশের ফলে ক্যাডারদের মাঝে এক ধরণের বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।’

‘একইসাথে, অভ্যূত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্যোগে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রতিবেদনের জন্য জাতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। কিন্তু সংস্কার প্রস্তাবনা ও সংস্কার কার্যক্রমকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে নানাবিধ তৎপরতা চলছে। সংস্কার কমিশনগুলো সরকারের কাছে নিজেদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনসমূহ দাখিল করার পূর্বেই এ ধরণের অস্থিরতা এবং কমিশনের কাজে প্রতিবন্ধকতা রাষ্ট্রের সংস্কার কার্যক্রমকে ব্যহত করার একটা অপচেষ্টা বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক কমিটি।’