৭ জানুয়ারি সীমান্ত হত্যা প্রতিরোধ দিবস ঘোষণার দাবি ছাত্র ফেডারেশনের

ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২২:০৮

জাতীয় জাদুঘরের সামনে ছাত্র ফেডারেশনের সমাবেশ। ছবি: সংগৃহীত
৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয়ভাবে সীমান্ত হত্যা প্রতিরোধ দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।
আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানীর স্মরণে এক সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দীপা মল্লিক বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান প্রচলিত সংবিধানকে নাকচ করেই হয়েছে। জনগণের সরকার সংবিধান প্রতিষ্ঠায় তাই এই মুহূর্তে সংবিধান সভার নির্বাচন দিতে হবে। দীর্ঘ ১৬ বছর শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসন জনগণের ভোটের মাধ্যমে জন প্রতিনিধি নির্বাচন করার স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, জীবনের নিরাপত্তা সহ গণতান্ত্রিক সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। হত্যা, গুম, ক্রসফায়ারের মাধ্যমে বিরোধী দল মতকে দমন করে পুলিশ, ছাত্রলীগ সহ দলীয় বাহিনী দিয়ে অব্যাহত সন্ত্রাস তৈরি করে রেখেছিল। ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ড এবং ২০১০ সালে সম্পাদিত হাসিনা-মনমোহন অধীনতার চুক্তি বাংলাদেশকে ভারতের অধীন করেছে।
সংগঠনের ঢাকা মহানগরের সভাপতি এহতেশাম ইমন বলেন, ফেলানী হত্যার ১৪ বছর পার হলেও ফেলানীসহ হাজারের অধিক বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার কোন বিচার হয়নি। বরং হাসিনার মন্ত্রীরা এত বছর তার পক্ষে কথা বলেছে। আর এখন স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হরণকারী, ছাত্র গণহত্যাকারী পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার ক্রিমিনালরা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। এদেরকে অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মিতু সরকার বলেন, আমরা আবরার ফাহাদের কথা জানি, ভারতের রাজনৈতিক আগ্রাসনের প্রতিবাদ করে ফেসবুকে লেখার কারনে ২০১৯ সালে ছাত্রলীগ নির্মমভাবে তাকে হত্যা করে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরেও ভারতের সাথে অধীনতামূলক চুক্তি বাতিল হয়নি। ভারতের জেলখানায় বন্দী শতশত বাংলাদেশী নাগরিকের নিরাপত্তা এবং সুবিচার নিশ্চিত করে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। বন্ধ হয়নি সীমান্তে হত্যা। আমরা কিছুতেই ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান ব্যর্থ হতে দেব না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খায় জনগণের গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়ন করতে সংবিধান সভার নির্বাচন দিতে হবে। ২০১৩ সাল থেকে ফেলানীকে হত্যার দিনটি আমরা সীমান্ত হত্যা প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করছি। আমরা দাবি জানাই রাষ্ট্রীয়ভাবে এই দিবস ঘোষণা করতে হবে।