ত্রাণ চোরদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেছেন, ‘ত্রাণ চোরদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে অন্য কেউ আর ভবিষ্যতে ত্রাণ চুরি করতে সাহস না পায়।’
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) রাজধানীর কাকরাইলে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার ঈদ উপহার নেতাকর্মীদের মাঝে বিতরণ অনুষ্ঠানে এ দাবি ক্রেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, ‘দেশের এমন সংকটময় মুহূর্তে হতদরিদ্র মানুষ জীবিকা হারিয়ে ত্রাণের জন্য রাস্তায় ঘুরছে। খেটে খাওয়া মানুষদের বাঁচাতে সরকারও ব্যাপক ত্রাণ কার্যক্রম চালাচ্ছে। কিন্তু একদল অসাধু জনপ্রতিনিধি হতদরিদ্রের ত্রাণ সামগ্রী চুরি করছে। তাদের কেউ কেউ গ্রেফতার হয়েছে এবং সাময়িক বরখাস্ত কয়েছে।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তই যথেষ্ট নয়, ত্রাণ চোরদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে অন্য কেউ আর ভবিষ্যতে ত্রাণ চুরি করতে সাহস না পায়।’
তিনি বলেন, ‘সরকার বিভিন্ন সময়ে স্বাস্থ্য খাতে বিপুল পরিমাণে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন। এখন অভিযোগ উঠেছে, সেই বরাদ্দ লোপাট হয়েছে। সরকারের উচিত একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা। যদি কেউ দোষী প্রমাণ হয় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত।’
ওই সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, দফতর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দে, সরফুদ্দিন আহমেদ সিপু, এম এ সোবহান প্রমুখ।
এর আগে, বেলা ১১টায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে ৫ শতাধিক হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। জাতীয় যুব সংহতি ঢাকা মহানগর উত্তরের আয়োজনে এই ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মসিউর রহমান রাঙ্গা।