বাংলাদেশের অর্থনীতি সুগঠিত করতে জুলাই ৩৬ ফোরামের ১১টি রোডম্যাপ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৩৯

এ পেনিনসুলা ডেভেলপমেন্ট ডায়ালগ ইনেশিয়েটিভ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত
দক্ষিণ এশিয়ার শক্তিশালী অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে ১১টি রোডম্যাপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছে জুলাই ৩৬ ফোরাম।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা আকরম খাঁ হলে ‘এ পেনিনসুলা ডেভেলপমেন্ট ডায়ালগ ইনেশিয়েটিভ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনের সদস্যরা। সংবাদ ব্রিফিংয়ে স্বাধীনতা ও পরবর্তী স্বাধীন আত্মসামাজিক, চাররাষ্ট্র সমন্বিত, আমলাতন্ত্র, বিনিয়োগ প্রস্তুতি পর্যালোচনা তুলে ধরে বক্তারা ভবিষ্যৎ বিষয়টি তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রোডম্যাপ নির্ধারণে ১১টি মৌলিক বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা হলে, তা বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক শক্তি কেন্দ্র এবং বিশ্বে পরবর্তী ১১ অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করবে।
জুলাই ৩৬ ফোরামের আহ্বায়ক মোহাম্মদ এ নাজীর শাহীন বলেন, এখনই সঠিক রোডম্যাপ কার্যকর করার সময়, অন্যথায় সম্ভাবনাগুলো হাতছাড়া হবে।
তাদের প্রস্তাবিত ১১ দফা রোডম্যাপ হলো—
১. অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক গতিশীলতা আনয়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বিশ্লেষক এবং থিংক ট্যাংকগুলোর মাধ্যমে সমন্বিত উদ্যোগ গ্ৰহণ করা।
২. ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়নে রেল, উচ্চগতির ট্রেন, গভীর সমুদ্রবন্দর এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার হাব হিসেবে গড়ে তোলা।
৩. কৌশলগত প্রতিরক্ষায় ব্লু ইকোনমি ও রণতরী সংযোজনের মাধ্যমে আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি।
৪. বহুজাতিক সম্পর্কে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে কার্যকর সম্পর্ক এবং চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সমন্বয়।
৫. প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় পরিবেশ বান্ধব উন্নয়ন নিশ্চিত করে সুন্দরবন ও অন্যান্য পরিবেশগত সম্পদ সংরক্ষণ।
৬. আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে জোরালো ভূমিকা নিয়ে ইউএন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ অর্জন।
৭. কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট ব্যবহার করে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি।
৮. ক্রীড়া অবকাঠামো উন্নয়নে ফুটবলসহ আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন।
৯. প্রশাসনিক সংস্কারে দুর্নীতি দমন ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে প্রশাসনকে জনমুখী করা।
১০. দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি।
১১. বিশ্বমঞ্চে অবস্থান তৈরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট ডেল্টা নেশন হিসেবে গড়ে তোলা।