‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্বৈরাচারীর পথে হাঁটছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:১৪

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন সিপিবি নেতারা। ছবি: সংগৃহীত
শতাধিক পণ্যের ওপর ভ্যাট বৃদ্ধির নামে জনগণের পকেট থেকে বারো হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, সরকার স্বৈরাচারীর পথে হাঁটছে, এটা দেশবাসী দেখতে চায় না।
আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সিপিবি আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। ভ্যাটের নামে অপ্রত্যক্ষ কর বাড়ানোর মধ্য দিয়ে সাধারণ জনগণের পকেট কাটা স্বৈরাচারী শাসকরাই করত। জরুরি ভাবে টাকার প্রয়োজন হলে বড়লোকদের ওপর কেন প্রত্যক্ষ কর বসানো হচ্ছে না? যারা কর ফাঁকি দিচ্ছেন, তাদের কাছ থেকে কর আদায়ে কেন বিশেষ ভূমিকা নেওয়া হচ্ছে না ? কেন পাচারের টাকা ও খেলাপি ঋণ উদ্ধারে বিশেষ ভূমিকা দেশবাসী দেখেছে না?
তিনি বলেন, অনেকদিন ধরে দেশে বেকারত্ব বেড়েই চলেছে। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতিতে সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে। এ সময় সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ছিল সরকার জনগণের দাবি অনুযায়ী রেশন ব্যবস্থা, ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা নেবে। সরকার এ পথে না হেঁটে বিশ্ব ব্যাংকের শর্ত মেনে ভ্যাট বৃদ্ধি, সরকারি কর্মচারীদের প্রণোদনা দেওয়াসহ নানা সংকট মোকাবেলায় সাধারণ মানুষের পকেট কাটার যে নীতি বেছে নিল তা দেশবাসী প্রত্যাখ্যান করছে।
সিপিবি সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকারের অনেক উপদেষ্টা এবং প্রেস সচিব বলছেন, ‘এই ভ্যাটের বৃদ্ধি জনগণের ওপরে কোনো প্রভাব পড়বে না, আমার হাতে আলাদীনের চেরাগ নেই।’ একথা বলার মধ্য দিয়ে তারা সাধারণ জনগণের সঙ্গে রসিকতা করে চলেছে। সরকার সিন্ডিকেট ভাঙার দিকে নজর দেয় নাই। সাধারণ মানুষ মনে করছে তাদের সঙ্গে আপোষ করেই সরকার তার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশের মেহনতি শ্রমিক-কৃষক-খেতমজুরের দিকে নজর দিন। তাদের স্বার্থে ভূমিকা নিন। না হলে জনগণ আপনাদের সম্পর্কে ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন— সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহিন রহমান, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক লূনা নূর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জলি তালুকদার প্রমুখ।