অন্তর্বর্তী সরকারের মূল কাজ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা: মঈন খান

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৫৭

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। ছবি: সংগৃহীত
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল দায়িত্ব গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
তিনি বলেছন, বিগত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুম-খুনের মাধ্যমে নির্যাতন করেছে। লক্ষাধিক মিথ্যা মামলায় ৫০ লাখ মানুষকে আসামি করে অধিকার হরণ করেছিল। সুতরাং আজকে সবাইকে বুঝতে হবে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা কী? সরকারকেও সেটি উপলব্ধি করতে হবে। একইসঙ্গে তারা যখন উপলব্ধি করবে যে, বাংলাদেশের মানুষ তাদের ওপর আস্থা রেখেছে তখন গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনাই হবে সরকারের মূল দায়িত্ব।
আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়া উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, এখানে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলো- নাকি মেয়রাল ইলেকশন হলো সেটি কোনো কথা নয়। দেশের মানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন হিসেবে সরকার ক্ষমতায় এসেছে। ডকট্রিন অব নেসেসিটি মোতাবেক বর্তমান সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। আমরা একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা বলছি। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনমতের প্রতিফলন ঘটতে পারে। যারাই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন তারাই সরকার গঠন করবেন। সেটিই হলো গণতন্ত্র। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি।
তিনি বলেন, বিগত ৫৩ বছর আমরা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এসেছি। বিগত দিনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণ তাদের মতের প্রতিফলন ঘটাতে পেরেছে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটি চলতে থাকবে। আমরা একটি নির্বাচিত সংসদ গঠন করতে চাই। আওয়ামী লীগের মতো ব্যালট চুরি করে দিনের ভোট রাতে করা দেশের মানুষ তা কখনো স্বীকার করেনি। পরবর্তীতে যারাই ক্ষমতায় আসবে তারাই সংস্কার বা অন্য কাজ করবে। যে কেউ দল গঠন করতে চাইলে করবে। এখানে কোনো বাধা নেই।
ড. মঈন খান বলেন, ব্যক্তির চেয়ে দল বড় দলের চেয়ে দেশ বড়। সেই মন্ত্রে আমরা উদ্বুদ্ধ। আমরা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি। অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার যদি নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে পারে তাহলে আগামী ৬ মাসের মধ্যে কেন পারবে না? সরকারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একটি গণঅভ্যুত্থানের পর দেশকে স্বাভাবিক করার জন্য। তাদের দায়িত্ব ও কাজ বুঝতে হবে।
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে তিনি বলেন, আগামীর অগ্রযাত্রা নিয়ে একটি ডকুমেন্টেশন তৈরির দাবি উঠেছে। প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমরা মতামত দিয়েছি।