Logo
×

Follow Us

রাজনীতি

অর্থনীতির অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়: ফখরুল

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:২১

অর্থনীতির অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি- সংগৃহীত

দেশের অর্থনীতির অবস্থা ‘অত্যন্ত শোচনীয়’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গনে দলীয় বর্ধিত সভায় এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা দেখেছেন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি বিএনপিকে গণতন্ত্রের জন্য, জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য কী পরিমাণ ত্যাগের মধ্যদিয়ে সংগ্রাম করতে হয়েছে। এরই মধ্যে দেশের অর্থনীতির অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। ক্রমান্বয়ে শিক্ষাঙ্গনগুলো বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার পরিবেশ থাকছে না।

দলীয় সভায় ফখরুল অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা তারা পাচ্ছেন না।

ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ অনেক আশা-ভরসা নিয়ে আছেন ৫ আগস্ট পরিবর্তনের পরে, ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ থেকে পলায়নের পরে দেশের অবস্থার পরিবর্তন হবে। অতি দ্রুত দেশের জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হবে, তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন এবং তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবেন। কিন্তু আমরা দুঃখের সঙ্গে দেখছি, সে লক্ষ্যে আমরা সুস্পষ্ট নির্দেশনা পাচ্ছি না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা ফ্যাসিবাদকে তাড়িয়েছি, শেখ হাসিনাকে তাড়িয়েছি। দেশের জনগণের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা; আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের যে স্বপ্ন একটি আধুনিক-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ রূপান্তরিত করার, আমরা এখন সেই অপেক্ষায় আছি। সেই গণতন্ত্রকে বিঘ্নিত করার জন্য, বাধাগ্রস্ত করার জন্য একটি মহল বিভিন্নভাবে চক্রান্ত করার চেষ্টা করছে। বাইরে থেকেও চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের অভ্যন্তর থেকেও কিছু কিছু গোষ্ঠী ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।

দলের নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ১৫ বছর ধরে দলের নেতাকর্মীরা যে লড়াই করে আসছে, সেই লড়াইকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে। এমন কিছু কাজ করা যাবে না, যাতে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়। যাত্রা ব্যাহত হয়।

বিএনপির বর্ধিত সভায় ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন দলটির চেয়াপারসন খালেদা জিয়া।

বিএনপির এই বর্ধিত সভায় সারাদেশ থেকে সাড়ে তিন হাজারের বেশি নেতা অংশ নিয়েছেন। ২০১৮ সালের পর অনুষ্ঠিত এই সভায় অনেকেই বক্তব্য রাখার আগ্রহ পোষণ করছেন। তবে সময় স্বল্পতা এবং আগ্রহী অনেক বেশি হওয়ায় বক্তব্য দিতে ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেছে বিএনপি।

মঞ্চের ডান পাশে টেবিলে কাচের জার রাখা হয়েছে। এতে প্রত্যেক বিভাগের নাম লিখে রাখা হয়েছে। সেখানে বক্তব্য দিতে আগ্রহী নেতারা নাম জমা দিয়েছেন। পরে লটারির মাধ্যমে যাদের নাম এসেছে তারা বক্তব্যের সুযোগ পেয়েছেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫