শেখ হাসিনার বিচারের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, নির্বাচিত সরকারও শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের অপরাধীদের বিচার করার বিষয় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে একটি হোটেলে শিপ ব্রেকারস অ্যান্ড রিসাইক্লারস অ্যাসোসিয়েশনের গোলটেবিল বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আমীর খসরু বলেন, শুধু শেখ হাসিনা নয়, আওয়ামী লীগের বাকি অপরাধীদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। নির্বাচিত সরকারও শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের অপরাধীদের বিচার করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।

“বিচারিক বিষয় আইনি প্রক্রিয়া। এর সঙ্গে সরকার পরিবর্তনের কোনো সম্পর্ক নেই। স্বাধীন বিচার বিভাগ বিশ্বাস করলে নির্বাচন নিয়ে অহেতুক বির্তক সৃষ্টি হওয়া কাম্য নয়।”

নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে নানা প্রস্তাব জুড়ে দেওয়া ফ্যাসিবাদী চরিত্রের মতো।

“নিজস্ব প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতেই হবে এমন মনোভাব শেখ হাসিনার স্বৈরাচারকে মনে করিয়ে দেয়।”

সরকার দ্রুত নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবে মানুষ এটিই প্রত্যাশা করে বলেও জানান বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এই নেতা।

এর আগে, গোলটেবিল বৈঠকে খসরু বলেন, দূষণের দোহাই দিয়ে শিপ ব্রেকারের মতো শিল্পকে শুধু মনিটরিং করা হচ্ছে, সাহায্য করা ভুলে গেছে সরকার। এ শিল্পকে বাধাগ্রস্ত না করে সরকারকে সুবিধা দেওয়ার অনুরোধ করছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ অতি নিয়ন্ত্রণের দেশ হয়ে গেছে। মানুষ শিল্প কারখানা দিতে পারছে না। সরকার ওয়াচডগের ভূমিকা পালন করবে।

“আমরা যদি জনগণের ভোটে সরকার গঠন করতে পারি তবে, সব ট্রেড সংগঠনগুলো সেলফ রেগুলেট করবে।”

এ সময় রাজনীতির সঙ্গে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়েছে, সমাজের নীতি-নৈতিকতাও ধ্বংস হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এ নেতা।