
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগ সরকার পতন আন্দোলনে সেনাবাহিনীকে কৃতিত্ব দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, “১৯৭১, ৯০ এর আন্দোলনে এবং ২০২৪ সালের আন্দোলনে সেনাবাহিনী দেশের জনগণের পক্ষে থাকার কারণেই আমাদের আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে।
“তাই এই প্রতিষ্ঠানকে মর্যাদা দিতে হবে আমাদেরকে সম্মান দেখাতে হবে।”
রবিবার নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পথচারী ও প্রান্তিক মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, "জুলাই আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়েছে, দেশ ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছে। তাই আমাদের সবাইকে সহনশীল হতে হবে।”
গণতন্ত্রকে মজবুত করার জন্য অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন, একটি ন্যায়বিচার ভিত্তিক সমাজ, আইনের শাসন এবং প্রতিটি মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য এখন লড়াই করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, “আমাদের সংগ্রাম হচ্ছে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, আমাদের সংগ্রাম হচ্ছে পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। তাই আমাদের আলোচনা কথাবার্তায় এমন সহনশীল দেখাতে হবে যাতে রাষ্ট্রের মধ্যে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়।"
যেসব প্রতিষ্ঠান গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেটি মনে রাখতে হবে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, “৭১ সালে আমাদের দেশের সেনাবাহিনী এ দেশের জনগণের সাথে ছিল। এবং সেনাবাহিনীর একজন মেজর ‘স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন’।
“আমরা ৯০ এর আন্দোলনেও দেখেছি। আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
"২০২৪ সালেও আমরা দেখেছি এই সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তাই এই প্রতিষ্ঠানকে মর্যাদা দিতে হবে আমাদেরকে, সম্মান দেখাতে হবে।"
আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে বিএনপি নেতা বলেন, “ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তনের কোনো পথ যাতে না থাকে সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজগুলো আমাদের করতে হবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল ছাত্র জনতা, শ্রমিকরা প্রত্যেকে একযোগে কাজ করতে হবে। গণতন্ত্রের কাঠামো আরো মজবুত করতে হবে। শক্তিশালী গণতন্ত্র আমাদেরকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
“প্রতিটি নাগরিক যেন তার প্রাপ্য স্বাধীনতা পায় এরকম একটা রাষ্ট্র কাঠামো তৈরি করতে হবে।"
বিএনপিপন্থি প্রকৌশলীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ- এ্যাব এর সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নেতাদের উদ্যোগে এই ইফতার বিতরণ আয়োজন হয়।
এ্যাবের সাবেক নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।