স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস সামনে আনতে হবে: ফয়জুল হাকিম

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৫, ২২:১৪

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম বলেছেন, এদেশের শাসক শ্রেণি ইতিহাসকে ভয় পায়। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস জনগণের সামনে আসতে দেয়নি। কিন্তু এখন সময় এসেছে, স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস সামনে আনতে হবে।
রাজধানীর তোপখানা রোডে মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সম্পাদক ফয়জুল হাকিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাঙলাদেশ লেখক শিবিরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুঈনুদ্দীন আহমদ এবং শফী রহমান।
সভায় ফয়জুল হাকিম বলেন, “দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রাম শেষে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরে নতুন রাষ্ট্রের ক্ষমতাসীনরা একাত্তরের গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করেনি। বরং গণহত্যায় জড়িতদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে দেশ গড়ার আহ্বান জানিয়েছিল। এইভাবে এরা সেদিন জনগণের সঙ্গে বেঈমানি করেছিল। এরা স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরে এসে ২৫ শে মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষণা করেছে।”
তিনি বলেন, “এদেশের শাসক শ্রেণি ইতিহাসকে ভয় পায়। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস জনগণের সামনে আসতে দেয়নি।”
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দমনে পতিত ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা’ ও তার দোসরদের দ্বারা সংঘটিত ‘গণহত্যা’র বিচার দাবিতে সংগ্রাম জোরদার করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “জনগণের হাতে ক্ষমতা আনতে হবে।”
বাঙলাদেশ লেখক শিবিরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুঈনুদ্দীন আহমদ বলেন, “একাত্তরে গণহত্যার বিচার না হওয়ার মাধ্যমে দেশে যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি শাসক শ্রেণি তৈরি করেছিল তা এখনও অব্যাহত আছে। বিচারহীনতার এই সংস্কৃতি উচ্ছেদ করে দেশে ইনসাফ কায়েম করতে হবে।”
শফী রহমান বলেন, “বাংলাদেশে ইতিহাস চর্চা রুদ্ধ করে এদেশের শাসক শ্রেণি একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামে জনগণের ভূমিকা অস্বীকার করে চলেছে। এইভাবে জনগণের ভূমিকাকে আত্মসাৎ করে শাসক শ্রেণি রাজনৈতিক ক্ষমতা নিজেদের দখলে রেখে এসেছে।”
তিনি আরও বলেন, “২৫ শে মার্চ গভীর রাতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর অপারেশন সার্চ লাইটের কথা আওয়ামী লীগের নেতারা জানলেও সেদিন জনগণকে তা জানানো হয়নি। এই না জানানো যে কত বড় অপরাধ তা জনগণকে জানতে হবে।”