
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফর ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, “সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে কাজ করা দরকার। আর ভূরাজনৈতিকভাবে চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন জরুরি। তাছাড়া নিজেদের স্বার্থে চীন, ভারত, পাকিস্তান ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হবে।”
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “ড. ইউনূসের চীন সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে ইতিবাচক বিএনপি। ভূরাজনৈতিক কারণেই চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলাটা জরুরি।’
নির্বাচিত ও অনির্বাচিত সরকারের শক্তি এক নয় জানিয়ে আবারও নির্বাচনের দাবি জানান মির্জা ফখরুল। বলেন, গণতন্ত্রের শত্রুকে ভারতে বসিয়ে রেখে নির্বাচন পেছালে আরও বেশি সংকট তৈরি করবে।
নির্বাচন ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে হতাশা প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের জনগণ আশা করছে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। বিএনপির জনপ্রিয়তা নষ্ট করতে পারলে গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির সুবিধা হয় বলেও তিনি দাবি করেন।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, রাজনৈতিক অনভিজ্ঞতা থেকে সরকার নির্বাচনী রোডম্যাপ তৈরি করছে না।
তিনি বলেন, জনগণ সরকারের কাছ থেকে নিরপেক্ষতা আশা করছে। যদি সরকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়, তবে জনগণ তা মেনে নেবে না। নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে, কিন্তু সংস্কার সংস্কার করে নির্বাচন পেছানোর সুযোগ নেই।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, বিদেশে বসবাসরত কিছু ব্যক্তি ফেসবুকে বিভিন্ন মন্তব্য করে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়।