সয়াবিন তেল এবং শিল্প খাতে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক’ বলে দাবি করেছে জামায়াতে ইসলামী। এক বিবৃতিতে সরকারকে দ্রুত এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

মঙ্গলবার দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন।

মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ব্যবসায়ীদের দাবি মেনে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ায়। প্রতি লিটারে সয়াবিন তেল এখন আগের চেয়ে ১৪ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হবে। এখন প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৭৫ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৮৯ টাকা।

অন্যদিকে রবিবার শিল্প ও বিদ্যুৎ উৎপাদন গ্যাসের দাম প্রতি ইউনিটে ৩৩ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

সংস্থাটি জানায়, ক্যাপটিভ (বিদ্যুৎ উৎপাদনে) যেটা বর্তমানে ৩১.৫০ টাকা, এটি বেড়ে দাড়িয়েছে ৪২ টাকায়। শিল্পখাতে বর্তমানে যেটা রয়েছে ৩০ টাকা, এটি হবে ৪০ টাকা।”

সরকারের এই সিদ্ধান্ত ‘নতুন শিল্প উদ্যোক্তাদের আশাহত’ করেছে জামায়াতের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘‘৫ আগস্টের রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পরে দেশের অর্থনীতিতে সুবাতাস বইছে। দেশের শিল্প উদ্যোক্তাদের মধ্যেও আশার সঞ্চার হয়েছে। বিগত সরকারের শাসনামলে শিল্পবান্ধব পরিবেশ না থাকায় নতুন শিল্প গড়ে ওঠেনি। বর্তমানে অনেকেই নতুন শিল্পকারখানা স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করছে। এমতাবস্থায় নতুন শিল্পে গ্যাসের দাম ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সরকারের অপরিণামদর্শিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। এতে নতুন উদ্যোক্তারা নিরুৎসাহিত হবে। তাই নতুন শিল্প বিকাশের স্বার্থে সরকারের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা উচিত।”

গোলাম পরওয়ার বলেন, “সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ১৪ টাকা বৃদ্ধির সরকারের সিদ্ধান্তের ফলে দরিদ্র জনগণের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। সয়াবিন তেল সাধারণত দরিদ্র জনগণই রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকে। গ্যাসের এই মূল্য বৃদ্ধি সাধারণ ও নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগের কারণ হবে। কাজেই সয়াবিন তেলের মূল্য বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত থেকে অবিলম্বে সরকারকে সরে আসা উচিত।’’