আদালত প্রাঙ্গণে আমীর হোসেন আমুসহ বিভিন্ন আসামি।
রাজধানীর বিভিন্ন থানার দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আমীর হোসেন আমু, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খানসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
শুনানি শেষে সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ঢাকা-১৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির দিলীপ কুমার আগারওয়াল ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ।
রাজধানীর শাহবাগ থানা এলাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. মনির হত্যা মামলায় আমীর হোসেন আমু ও শাজাহান খান, একই থানাধীন পলিটেকনিক শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন রাব্বি হত্যা মামলায় আনিসুল হক ও জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মিরপুর থানার এক মামলায় কামাল আহমেদ মজুমদার ও শেরে বাংলা নগর থানার এক মামলায় দিলীপ কুমার আগারওয়ালকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। আদালত তাদের উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির দিন ২১ এপ্রিল ধার্য করে। শুনানি শেষে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।
মনির হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট শাহবাগ থানার চানখারপুল এলাকায় ছাত্র জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. মনির। দুপুরে আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী গত ১৪ মার্চ শাহবাগ হত্যা মামলা করেন।
আনোয়ার হোসেন হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বৈষম্যববিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আওয়ামী সরকারের পতনের দিন ৫ আগস্ট মিরপুর গোলচত্বর এলাকায় গুলিতে নিহত হন আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী।
এ ঘটনায় তার বাবা আল আমিন পাটোয়ারী মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।
গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ৬ নভেম্বর আমুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নৌপথে পালিয়ে যাওয়ার সময় গত ১৩ আগস্ট ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ, এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে শাজাহান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়।