চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষকে ‘কিনতে না পেরে’ আওয়ামী লীগের দোসররা তার বাড়িতে আগুন দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার সকালে মানিকগঞ্জে মানবেন্দ্রর পুড়ে যাওয়া বাড়ি দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, “মানবেন্দ্র তার সকল প্রতিভা দিয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত ছিল। এই কারণে তাকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।”

মানবেন্দ্রর সব শিল্পকর্ম ধ্বংস করা হয়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “ওরা হলো লুটেরা, ওরা দেশের টাকা পাচার করে। ওদের কাছে শিল্পের, সংস্কৃতির কি দাম আছে?”

অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো আইনি ভিত্তি নেই বলে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, “যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে তারা প্রত্যেকেই আপনাদের সমর্থন করেছে, সে অনুযায়ী আপনারা দেশ চালাচ্ছেন। এই সরকার সংগ্রামের ফসল। তাদের প্রতিটা ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা থাকতে হবে। জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে যে মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন লাগলো কী করে?”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু, মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আজাদ হোসেন খান, গোলাম আবেদীন কায়সার, আফম নূরতাজ আলম বাহার, বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকউদ্দিন ভূঁইয়া হাবু, যুবদলের সদস্য সচিব তুহিনুর রহমান তুহিন, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ পারভেজ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জিন্নাহ খান জিন্নাহ, ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল খালেক শুভ, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম খান সজীব আরও অনেকে।

পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফ তৈরি করেন শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষ। তার বাড়ি ১৬ এপ্রিল রাতে তার বাড়িতে আগুন লাগে। এ ঘটনায় মানবেন্দ্র ঘোষের করা মামলায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।