কিছু সংখ্যক ইউটিউবার বিএনপির জনপ্রিয় নেতাদের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তার বক্তব্য টুইস্ট করে অপপ্রচার চালানো হয় দাবি করে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনারা জবাব দেবেন, সোজা হয়ে যাবে। ওরা টাকা কামানোর জন্য এগুলো বলে। দয়া করে একটু প্রতিবাদ কইরেন, আমি এদের অত্যাচারে...।” 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে গণতন্ত্র ফোরামের আলোচনা সভায় মির্জা আব্বাস এ সব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, “আমার বক্তব্যকে টুইস্ট করে ইউটিউবাররা প্রচার করছে। তাদের বলতে চাই, আমি এই দেশেই আছি, পালিয়ে যাইনি।”

সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাক্টিভিস্টিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এদের কাজ হলো দেশের মধ্যে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে রাখা। এদের থেকে আমাদের সাবধান থাকতে হবে। জাতির বিবেক এখনও অন্ধ হয়ে যায়নি। দু-একজন লোকের কথায় সব শেষ হয়ে যায়নি। শেষ হয়ে যাবে না।”

বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, “আমার সম্পর্কে বেশকিছু কথা ব্লগাররা লিখতেছে। তাদের আজেবাজে লেখা দেখে মন খুব খারাপ হয়ে যায়। এরপর দেখলাম শুধু আমি না, তারা আমাদের ইশরাক, মির্জা ফখরুল, আমীর খসরু, সালাহ উদ্দিন আহমেদ এবং শেষ পর্যন্ত তারেক রহমানকে নিয়েও বলছে। তারা কিন্তু, কোনো জুনিয়র নেতাদের নিয়ে কিছু বলছে না।

শুধুমাত্র বিএনপির মধ্যে যাদেরকে মানুষ পছন্দ করে, এদের বিরুদ্ধে লিখতেছে কয়েকটি লোক। আমি মনে করি, এরা দেশ ও জাতির শত্রু।” “আপনারা দয়া করে দেশে আসেন, কাজ করেন। আমরা রাজনীতি ছেড়ে দেব। দেশে আসবেন না, আবার টিটকারি মারবেন, চরিত্রহনন করবেন এটি ভালো কাজ না”, বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।

সমালোচকরা কেন দেশে আসছে না, এই প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “সবার কথা বলার অধিকার আছে। আপনারাও বলেন, কিন্তু মিথ্যা কথা বলে চরিত্রহনন করবেন না। কিছু লোক বিশ্বাসযোগ্য মিথ্যা কথা বলতে পারে। ওইখানে বসে বসে বিশ্বাসযোগ্য কাগজপত্র তৈরি করে। কিন্তু দেশে আসতে পারে না। এখন তো দেশ স্বাধীন, সমস্ত মামলা নিয়ে লোকজন দেশে ফিরছে। আপনারা কেন আসতে পারেন না? আপনারা দেশে আসেন, দায়িত্বভার নেন। কিন্তু আসেন না কেন, এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েন।”

জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, “রাজনীতিবিদদের চরিত্র হনন গ্রহণযোগ্য না। এরা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে রাখতে চায়। এদের পাতা ফাঁদে পা দেবেন না। আপনারা জবাব দেবেন, সোজা হয়ে যাবে। ওরা টাকা কামানোর জন্য এগুলো বলে।”

গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপুর সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহসহ অন্যরা।