বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া
চার মাস চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার সকাল সকাল ১০টা ৪০-এর দিকে কাতারের রাজপরিবারের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
সঙ্গে ছিলেন তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান এবং ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান।
২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর দেশত্যাগের পর দীর্ঘ ১৭ বছর পর এবারই প্রথম দেশে ফিরলেন জুবাইদা রহমান।
ঢাকায় খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবর শুনে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি তার জন্য রাজকীয় বহরের একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠান। সেই বিমানে করেই ৮ জানুয়ারি লন্ডনে গিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। চিকিৎসা শেষে ফিরলেন একই বিমানে।
খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে সকাল থেকেই রাজধানী ও আশপাশের এলাকা থেকে বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিমানবন্দরের আশপাশে ভিড় করেন। কেউ এসেছেন পিকআপে, কেউ বাসে, সঙ্গে বাজছে মাইক, হাতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা।
নিরাপত্তার জন্য পুরো বিমানবন্দর এলাকা ঘিরে রাখা হয়। সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, পুলিশ, র্যাব, আনসার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা টার্মিনাল এবং ভিআইপি গেট ঘিরে অবস্থান নেন।
বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে নেতাকর্মীদের অবস্থান নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিল দল। তবে খালেদা জিয়ার গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেল ও পদযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ডিএমপি।
গুলশানের ৮০ নম্বর সড়কের ১ নম্বর বাসা ‘ফিরোজা’ ইতোমধ্যেই তার আগমনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। ফুলে সাজানো আঙিনা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ঘর, সবকিছুতেই যেন ফেরার অপেক্ষা।
বিএনপির মিডিয়া সেলের শায়রুল কবির খান বলেন, “বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি সব ঠিক আছে। বাসা পুরোপুরি প্রস্তুত। স্বজনরাই সব তদারকি করেছেন। এখন আমরা সবাই ম্যাডামের অপেক্ষায় আছি।”
উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া গত ৭ জানুয়ারি রাতে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন। পরদিন হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছেই তাকে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানকার ১৭ দিনের ক্লিনিক-পর্ব শেষে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন তিনি।