১৭ বছর পর দেশে তারেকপত্নী জোবাইদা, থাকবেন বাবার বাসায়

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৫, ১৪:১৯

জোবাইদা রহমান
১৭ বছর যুক্তরাজ্যে থাকার পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান।
মঙ্গলবার সকালে শাশুড়ি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নামেন তিনি। সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে ফ্লাইটটি।
তবে শ্বশুরবাড়ি নয়, জানা গেছে— ধানমন্ডিতে বাবার বাসায় থাকবেন তিনি। দীর্ঘ প্রবাসজীবন শেষে এ ফেরাটা তার জন্য অনেকটাই আবেগময়।
২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর স্বামী তারেক রহমানের চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান জোবাইদা। এরপর থেকে তিনি ও তাদের মেয়ে জাইমা রহমান যুক্তরাজ্যেই ছিলেন।
সেই দিনেই দুদক জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগে এক দুর্নীতি মামলায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে মামলা করে।
ওই মামলায় ২০২৩ সালে ঢাকার একটি আদালত জোবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর এই রায় স্থগিত করা হয়।
১৯৯৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানকে বিয়ে করেন জোবাইদা। তিনি সাবেক নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের মেয়ে। ১৯৯৫ সালে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে প্রথম হয়ে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন জোবাইদা।
২০০৮ সালে স্বামীর চিকিৎসায় লন্ডনে যাওয়ার সময় তিনি শিক্ষা ছুটি নিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন দেশে না ফেরায় তাকে পরে বরখাস্ত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
যুক্তরাজ্যে থাকার সময় তিনি ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে চিকিৎসাশাস্ত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
জোবাইদা রহমানের দেশে ফেরাকে ঘিরে নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বিএনপি। দলটির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে চিঠি দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, জোবাইদা রহমানের জন্য ‘নিরাপত্তা ঝুঁকি’ রয়েছে। তাই তার বাসভবনে আর্চওয়ে স্ক্যানার বসানো ও সশস্ত্র নিরাপত্তা টিম মোতায়েনের অনুরোধ করা হয়েছে।
এরইমধ্যে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তার বাসভবন পরিদর্শন করে নিরাপত্তার একটি রূপরেখা তৈরি করেছে।
১৯৭২ সালের ১৮ মে সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন জোবাইদা রহমান। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। তার চাচা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানী।