
শাহবাগে হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলন নানাভাবে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চলছে বলে দাবি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
শনিবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে হাসনাত লিখেছেন, “নানাভাবে আন্দোলনকে বিতর্কিত ও বিভক্ত করার প্রচেষ্টা চলছে।”
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ তিন দাবিতে শাহবাগ অবরোধসহ নানা কর্মসূচি এখন থেকে 'ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য' ব্যানারে পালিত হবে বলে জানান এনসিপির এই নেতা। বলেন- “আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছি, সবার ঐক্যমতের ভিত্তিতে এখন থেকে আমাদের সব কর্মসূচি ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য’ ব্যানারে পালিত হবে।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলন কোনো একক দল বা মতের নয় জানিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “এই আন্দোলনে বাংলাদেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে একত্রিত হয়েছে।”
এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়ায় অনেকটা ক্ষোভের সুরে হাসনাত লিখেছেন, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গত দুই দিন ধরে ছাত্র-জনতা রাস্তায় অবস্থান করছে। এখনো পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফ্যাসিস্ট ও সন্ত্রাসী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারেনি।”
ঢাকাসহ সারাদেশের ছাত্র-জনতাকে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির এই নেতা বলেন, “আসুন, আমরা সবাই জুলাইয়ের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হই। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত গণঅভ্যুত্থানপন্থী সকল মত ও দল একত্রে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
“জুলাই এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে গণঅভ্যুত্থানের শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ থাকবে, ইনশাআল্লাহ।”
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শুক্রবার বিকেল পাঁচটা থেকে শাহবাগ অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়, যা এখনও চলছে। শনিবার বিকেল থেকে আর দুটি দাবি যোগ করে আন্দোলন কর্মসূচি পালিত হবে বলে ঘোষণা দেন হাসনাত।
নতুন দুই দাবি হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করা এবং জুলাই ঘোষণাপত্র জারি যুক্ত হয়েছে।