আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ঘোষণার পর নোয়াখালীর নেতার বাড়ি লুট-আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ মে ২০২৫, ২১:২৮
-6820c22dae4ce.jpg)
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ি। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ঘোষণার পর দলটির নোয়াখালী শহর শাখার সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার রাত সাড়ে ১১ দিকে নোয়াখালী পৌরসভার জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের বাড়িতে ওই হামলা চালানো হয়।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে পিন্টু আত্মগোপনে রয়েছেন।
আবদুল ওয়াদুদের পরিবারের সদস্যরা জানায়, রাত সাড়ে ১১টার দিকে ৭০ থেকে ৮০টি মোটরসাইকেল তাদের বাড়িতে ঢোকে। প্রতিটি মোটরসাইকেলে দুই তিনজন করে ছিল। কিছু বুঝে উঠার আগেই ওই ব্যক্তিরা বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর শুরু করে।
এ সময় তারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে একটি কক্ষে ঢুকে আশ্রয় নেন পরিবারের সদস্যরা। তারা পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে ফোন করেন। তবে হামলা-ভাঙচুর করে তারা চলে যাওয়ার পর পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিদর্শন করেন।
ওয়াদুদের স্ত্রী সাবরিনা মাহজাবিন জয়ন্তী বলেন, “হামলাকারীরা বাড়ির নিচতলা ও দ্বিতীয় তলায় প্রতিটি কক্ষে হামলা ভাঙচুর ও মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। বাড়ির সামনে রাখা তিনটি গাড়িও ভাঙচুর করে।”
এক পর্যায়ে নিচতলায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার কথাও জানান তিনি। হামলাকারীরা চলে গেলে চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে আগুন নেভান।
জয়ন্তী জানান, হামলাকারীদের কাউকে তিনি চিনতে পারেননি। তবে তারা হামলার শুরুতে ‘জিয়ার সৈনিক’ বলে স্লোগান দিয়েছিল।
জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো বলেন, “আপনারা নিশ্চিত থাকেন এ হামলা-ভাঙচুর বিএনপির কেউ করে নাই। আমাদের দল এ রকম হামলার সমর্থন করে না। এটা অন্যান্য কেউ হতে পারে। এমন হয়ে থাকলে আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। “
সুধারাম থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, “হামলকারীরা গ্লাস ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তবে এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।”