
ছবি: সংগৃহীত
গত পাঁচ অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হলে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। আর এই সরকারকে ব্যর্থ করতে রাজনীতি-অর্থনীতিসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি অশান্ত করে তুলতে নিত্য নতুন কৌশল কি বেছে নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। এমন প্রশ্ন প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
আওয়ামী লীগের দিকে অভিযোগ উঠেছে, ষড়যন্ত্রের বীজ বুনতে এরা কখনো আনসার, কখনো অটোরিকশা, কখনো বা শিক্ষক ও শ্রমিকসহ নানা গ্রুপের ওপর ভর করছে। এবার দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে ও শান্তি নস্যাৎ করতে বিভিন্ন আন্দোলনে ঢুকে পড়ছে তারা।
রাজনীতি বিশ্লেষকদের অভিমত পরিবেশ-পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে স্পষ্টভাবে বোঝা যায়, ষড়যন্ত্রকারী চক্রটি সরকারকে বিপদে ফেলতে প্রতিটি আন্দোলনকে বেছে নিচ্ছে। আন্দোলনের যৌক্তিকতা থাকুক বা না থাকুক তারা সেখানে সু- কৌশলে তাদের লোকজনকে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। কারণ তাদের উদ্দেশ্য এখন একটাই, -সরকারবিরোধী বড় ধরনের বিক্ষোভের প্লট তৈরি করা। আর এক্ষেত্রে পলাতক আওয়ামী লীগের অন্যতম টার্গেট ছাত্রদের মতো স্পর্শকাতর আন্দোলনকে পুঁজি করা।
সম্প্রতি, আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতসহ তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশবিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের কঠোর আন্দোলন গত বুধবার থেকে বেশ কয়েকদিন ধরে অব্যাহত আছে। এর মধ্যে প্রথম দিন ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলনে পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে।
যদিও সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, আন্দোলনকারীরা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় না বসে হঠাৎ করে-ই প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরাও কর্মসূচি দেয়।
এই সরকার দেশের দায়িত্ব নেবার পর থেকে দলটি সব ক্ষেত্রে আন্দলনের নামে অনেককেই উসকে দিচ্ছে- এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
অন্তর্বর্তী সরকার বেকায়দায় পড়লে সবচেয়ে বেশি খুশি হওয়ার কথা আওয়ামী লীগের।
বিশ্লেষকরা আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ভুল-ভ্রান্তি থাকতে পারে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এ সরকার ব্যর্থ হওয়া মানেই গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়া। এ কারণে আন্দোলনের নামে মহলবিশেষ যেন লাশ ফেলার রাজনীতিসহ নাশকতামূলক কিছু ঘটাতে না পারে, সে ব্যাপারে সরকারকেও সময়মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
পাশাপাশি কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্রের স্বার্থে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দেশকে নির্বাচনের পথে এগিয়ে নিতে সবপক্ষকে সচেষ্ট থাকতে হবে।