নিবন্ধনের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার না হলে আওয়ামী লীগ কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আব্দুর রহমান।

সোমবার বেলা ১১টায় রাজশাহী আঞ্চলিক লোক প্রশাসন কেন্দ্রে ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদ-২০২৫: পরবর্তী পর্যালোচনা ও টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

ইসি আব্দুর রহমান বলেন, “সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে এবং নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন স্থগিত করেছে। যতক্ষণ না এ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হচ্ছে, ততক্ষণ আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।”

আওয়ামী লীগ ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, “এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় এখনও আসেনি।”

তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টার নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আসা ৭০ জন নির্বাচন কর্মকর্তা ও তথ্য সংগ্রহকারী এতে অংশ নেন।

গত ৭ মে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশত্যাগ করার পর আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জোরালো হয়ে ওঠে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় ৮ মে থেকে অবস্থায় নেয় জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দল ও সংগঠন। এরপর ছাত্র-জনতা যমুনার অবস্থান তুলে নিয়ে শাহবাগ অবরোধ করে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে ছাত্র-জনতার অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে করণীয় ঠিক করতে জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।

গত ১০ মে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আওয়ামী লীগ কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে।

এই বিষয়ে ১২ মে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ নিবন্ধন স্থগিত রাখে নির্বাচন কমিশন।