Logo
×

Follow Us

রাজনীতি

আগে হোক স্থানীয় নির্বাচন, জাতীয় নিয়ে ‘ষড়যন্ত্র’ না ভাবার অনুরোধ সারজিসের

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ১১:৫৮

আগে হোক স্থানীয় নির্বাচন, জাতীয় নিয়ে ‘ষড়যন্ত্র’ না ভাবার অনুরোধ সারজিসের

জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির নেতা সারজিস আলম। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি যখন জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে নামার হুমকি দিচ্ছে, সে সময় জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির নেতা সারজিস আলম আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

সোমবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পাতায় দেওয়া এক পোস্টে সারজিস আলম এই দাবি তোলেন।

তবে এই বক্তব্যকে জাতীয় নির্বাচন পেছানোর চক্রান্ত হিসেবে না দেখারও অনুরোধ করেন এনসিপি নেতা।

তিনি লেখেন, “এখানে যেন জাতীয় নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র খোঁজা না হয়। প্রয়োজনে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দেওয়া হোক। সেটা নিয়ে আমাদের আপত্তি থাকবে না।”

এনসিপি নেতা এমন সময়ে এ দাবি তোলেন দিয়েছেন যখন বিএনপি নেতা ইসরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র করার দাবিতে দিনের পর দিন তার সমর্থকরা আন্দোলন করছে।

সারজিস লেখেন, “জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন সহ সকল স্থানীয় নির্বাচন হোক। তাহলে ইশরাক ভাইয়ের মত যোগ্য ব্যক্তিরা তুলনামূলক লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে প্রতিযোগিতা করে গ্রহণযোগ্যতা এবং জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবে।”

স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে সারজিস লেখেন, “বর্তমানে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের অফিসগুলোতে জনপ্রতিনিধির অভাবে যে সেবাগুলো বিঘ্নিত হচ্ছে, জনগণ সেই সেবাগুলো আবার পেতে শুরু করবে।”

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সংসদের পাশাপাশি স্থানীয় সরকারে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা ভেঙে দেয়। এর মধ্যে আদালতে রায়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র হন শাহাদাত হোসেন।

ইশরাকও আদালতের রায় পেয়েছেন, তবে তার শপথ হচ্ছে না। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া ফেসবুকে লিখেছেন, বিএনপি গায়ের জোরে নগর ভবন দখল করতে চাইছে। অন্যদিকে ইশরাক ফেসবুকে লিখেছেন, মেয়র পদ নয়, সরকারের ‘কুৎসিত রূপ’ বের করে আনাই তার উদ্দেশ্য।

বিএনপি ও সঙ্গীরা চায় জাতীয় নির্বাচন

এর মধ্যে সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এক আলোচনায় প্রশ্ন রেখেছেন, কেন নির্বাচন দেওয়া হচ্ছে না। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট না হলে তার যৌক্তিক কারণ ব্যাখ্যার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

একই আলোচনায় বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা করে রাজনীতি করে আসা ১২ দলীয় জোটের নেতারা ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না দিলে সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

কেন আগে স্থানীয় নির্বাচন চান এনসিপি নেতা

সারজিস লেখেন, আগে স্থানীয় নির্বাচন সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশের ‘লিটমাস টেস্ট’ হতে পারে।

এনসিপি নেতা আরও লেখেন, “সরাসরি জাতীয় নির্বাচন হলে যদি অপ্রত্যাশিত কিছু বিষয় পরিলক্ষিত হয় তাহলে সেগুলো সংশোধনের আর সুযোগ থাকবে না। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”

জাতীয় নির্বাচনের পর স্থানীয় নির্বাচন হলে ক্ষমতাসীন দল নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন সারজিস। তিনি লেখেন, “ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে মার্কা দিয়ে কিংবা সিলেকশন প্রক্রিয়ায় নমিনেশন দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের মাইম্যানকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে জনপ্রতিনিধি করা হয়। কিন্তু এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় সেই স্থানীয় নির্বাচন হলে ‘মাইম্যান নয়’ বরং জনগণের রায়ে ‘জনগণের ম্যান’ জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার অধিক সম্ভাবনা থাকে।”

বিএনপিকেই সম্ভাব্য জয়ী দেখছেন সারজিস

বিএনপিকে এই মুহূর্তে ‘সবচেয়ে বড়’ রাজনৈতিক দল আখ্যা দিয়ে এনসিপি নেতা আরও বলেন, এই দলটির কর্মী থেকে শুরু করে সমর্থনও সবচেয়ে বেশি হওয়ায় প্রতিনিধিদের নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি।

“তবে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টা হবে সেটি হচ্ছে তাদের একাধিক প্রতিনিধির মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এবং জনপ্রিয় মানুষটি নির্বাচিত হবে।”

চাঁদাবাজ, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী, সিন্ডিকেটের অংশীদার, তেলবাজরা জনপ্রতিনিধির চেয়ারে বসার সুযোগ পাবে না বলে মন্তব্য করে এনসিপি নেতা বলেন, “আশা করি এ বিষয়ে তাদের দ্বিমত থাকবে না।”




Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫