রাজধানীর গুলিস্তান থেকে নগর ভবন পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করেছেন ইশরাক হোসেনের সমর্থকেরা। এতে সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে এই সড়ক অবরোধ করেন তারা। এর আগে সোমবার দুপুরে গোলাপ শাহ মাজার মোড় অবরোধ করা হয়।

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানো ও ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়রের দায়িত্ব দ্রুত বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগর ভবনের সামনে ষষ্ঠ দিনের মতো সকাল থেকে বিক্ষোভ করছেন তার সমর্থকেরা।

চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে গুলিস্তান মোড়ের একটি অংশও ম্ঙ্গলবার অবরোধ করে রেখেছেন সমর্থকরা।

নগর ভবনের সামনে একটি পিকআপ দাঁড় করিয়ে সেখানে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে গান পরিবেশন করা হচ্ছে। ওই মঞ্চ ঘিরেই ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে অবস্থান নিয়েছেন ইসরাকের সমর্থকরা।

গত বুধবারও ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে নগর ভবনের সামনে কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেন।

এরপর বৃহস্পতিবার থেকে লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা আসে। সেই অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার থেকেই নগর ভবনের প্রধান ফটকসহ বিভিন্ন প্রবেশপথ অবরুদ্ধ রাখা হয়।

এসব কর্মসূচির কারণে নগর ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সেখানে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়ছেন।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী হিসেবে মেয়র ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের গেজেট প্রকাশ করে।

এই গেজেট চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের সালের ৩ মার্চ তাপস, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ আটজনকে বিবাদী করে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন বিএনপির প্রার্থী ইশরাক।

ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাপসকে মেয়র পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

এরপর ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ মার্চ রায় দেয় ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেন আদালতের রায়ে মেয়র ঘোষিত হলে ইসি তার নামে গেজেট প্রকাশ করে। পরে শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।

এখন পর্যন্ত শপথের ব্যবস্থা করেনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।