পছন্দের ঠিকাদার কাজ না পাওয়ায় নুরের ‘বিশৃঙ্খলা’: ডিএনসিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ মে ২০২৫, ২০:৩৪

ফাইল ছবি
গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ এনেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
ডিএনসিসি বলছে, নুর তার পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দিতে সুপারিশ করে। ওই ঠিকাদার কাজ না পাওয়ায় গণঅধিকার পরিষদের কর্মীরা নগর ভবনের সামনে ‘বিক্ষোভ’ করে।
বুধবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারজানা ববি স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগের কথা জানানো হয়।
ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজকে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের নেতা আখ্যা দিয়ে তার অপসারণের দাবিতে মঙ্গলবার গুলশানে ডিএনসিসির সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশ করে গণঅধিকার পরিষদ।
বৃহস্পতিবারের মোহাম্মদ এজাজকে অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে তারা। না হলে আগামী শনিবার থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেওয়ারও ঘোষণা দেয় গণঅধিকার পরিষদ।
ডিএনসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমানকে গনঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক তার পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার জন্য ১৮ মে ফোন করে।
অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তাকে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালার আইনি বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করেন এবং আইনের বাইরে গিয়ে কোনো কিছু করার সুযোগ নেই বলে নুরকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু নুরুল হক তার কোনো কথা না শুনে তাকে কাজ দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আর ডিএনসিসির অফিসে তালা লাগানোর হুমকি দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০ মে বিকাল ৩ টায় গুলশান-২ এর নগর ভবনের সামনে কিছু লোক নিয়ে গনঅধিকার পরিষদের ব্যানারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও ডিএনসিসি প্রশাসকের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে থাকে। যাতে ডিএনসিসির স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।”
এ বিষয়ে নুরের দুইটি নম্বরের যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে, গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ সভাপতি ও মুখপাত্র ফারুক হাসান দেশকাল নিউজ ডটকমকে বলেন, “পছন্দের ঠিকাদার কিংবা অপছন্দের ঠিকাদার এগুলো ব্যাপার না। ব্যাপার হচ্ছে, আমরা তার (নগর প্রশাসক) পদত্যাগের দাবি তুলেছি, কারণ সে নিষিদ্ধ ঘোষিক সংগঠনের নেতা। এই বাংলাদেশে আমরা কোনো দিন চিন্তাই করতে পারিনি, এমন একজন নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতা কীভাবে বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকে।”
“তাকে কত কোটি টাকার বিনিময়ে এই সরকার ওখানে পদায়ন করেছে, এটা তাদের পরিষ্কার করতে হবে। উনারা এখন বাঁচার জন্য এবং মূল ইস্যু থেকে দৃষ্টি সরানোর জন্য এমন বিষয়কে সামনে আসছে।”
ফারুক বলেন, “সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের এটা প্রমাণসহ মিডিয়াতে, ফেসবুকে দিয়েছে। এটা তো এজাজকে প্রমাণ করতে হবে যে তিনি নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতা না। এটা তার প্রমাণের দায়িত্ব।”
তিনি বলেন, “আমরা কোন টেন্ডার দেইনি। গণঅধিকার পরিষদ টেন্ডারের রাজনীতি করে না। এগুলো স্রেফ তাদের ভাওতাবাজি। মূলত জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য এমন কাজ তারা করছে।”