Logo
×

Follow Us

রাজনীতি

এবার আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজের পদত্যাগ দাবি নুরের দলের

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ মে ২০২৫, ১৫:১৬

এবার আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজের পদত্যাগ দাবি নুরের দলের

গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন নুরুল হক নুর।

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করেছেন নুরুল হক নুর ও তার দল গণঅধিকার পরিষদ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি তোলে দলটি।

লিখিত বক্তব্যে দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমকে একইপক্ষের বলে দাবি করেছেন।

এই দুই উপদেষ্টা এনসিপির অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন মন্তব্য করে রাশেদ খান বলেন, “সরকার থেকে একজন (নাহিদ ইসলাম) পদত্যাগ করে রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন। কিন্তু তাদের আরও দুজন উপদেষ্টা হিসেবে রয়ে গেছেন। তারা এখন ওই দলের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন।”

সরকারে থেকে দলীয় অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করা শপথ ভঙ্গের শামিল বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে তারা নানামুখী বিতর্কেও জড়িয়ে পড়েছেন।”

রাশেদ বলেন, “আসিফ মাহমুদ কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য গণমাধ্যমে এসেছে।”

নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের নেতাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে আসিফ মাহমুদ পদে থাকার নৈতিকতা হারিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন রাশেদ। তিনি বলেন, “এমনকি তার এপিএসের (ব্যক্তিগত সহকারী) বিরুদ্ধে দুদকে তদন্ত চলছে। কিন্তু তার মন্ত্রণালয় এখন কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করেনি।”

উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের সম্পর্কে বলতে রাশেদ বলেন, “বিভিন্ন সংগঠন, রাজনৈতিক দল ও নেতাদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের মাধ্যমে সমাজে ও রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা তৈরি করেছেন মাহফুজ। উপদেষ্টা হিসেবে শপথ ভঙ্গ করার পরে তিনি কোনোভাবেই পদে থাকতে পারেন না।”

তিনি বলেন, “উপদেষ্টা পরিষদ গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া হয়নি। যে কারণে উপদেষ্টা পরিষদের কতিপয় ব্যক্তি নিয়ে অনেকের আপত্তি রয়েছে। এ কারণেই আমরা বলে আসছি, গণ-অভ্যুত্থানের সকল স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে জাতীয় সরকারের আদলে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করতে হবে।”

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজকে অপসারণ ও গ্রেপ্তার না করলে যমুনা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়ে রাশেদ খান বলেন, “এজাজকে অপসারণের জন্য আমাদের দলের পক্ষ থেকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। সেই আল্টিমেটাম এখন পর্যন্ত চলছে।”

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ক্ষমতায় আসিফ মাহমুদ বসতে দিচ্ছেন না দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, “ইশরাককে আদালত নির্দেশ দিয়েছে শপথ নেওয়ার। এনসিপির উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এটার বিরুদ্ধে। তাকে শপথ পড়াতে চাচ্ছেন না।

“শেষ পর্যন্ত ইশরাক কোর্টে রিট করিয়েছেন। তার সমর্থকেরা নগরভবনসহ কাকরাইল, যমুনা বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন করছেন। এই আন্দোলনের দিকে ঠেলে দিল কে, সরকার।”

আসিফ মাহমুদের সম্বন্ধে বলতে গিয়ে নুর বলেন, “সে উপদেষ্টা, পিচ্চি হোক আর বড় হোক। গ্র্যাজুয়েট হোক আর আন্ডারগ্রাজুয়েট হোক সে তো উপদেষ্টা। নাবালক হোক আর সাবালক হোক, সে তো উপদেষ্টা। সেই তো এই সংকটটা তৈরি করল।”

তিনি বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে যাদের বিদ্বেষ রয়েছে তারা তো উপদেষ্টা পদে থাকতে পারেন না।”

উত্তরের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ হিযবুত তাহরীরের অর্থায়নে সম্পৃক্ত ছিলেন দাবি করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, “২০১৫ সালে দুইবার তিনি (মোহাম্মদ এজাজ) গ্রেপ্তার হয়েছেন, কারাবরণ করেছেন।” তিনি আরও বলেন, “শুনেছি বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তিনি উত্তর সিটির প্রশাসক পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া এজাজের তো কোনো যোগ্যতা নেই ওই পদে বসার।”

নুর বলেন, “দুই ছাত্র উপদেষ্টার রাজনৈতিক স্বার্থের বিষয়গুলো সামনে এসেছে, তাদের কথাবার্তা ও কাজের মাধ্যমে। এজন্য আমরা বলছি, তাদের পদত্যাগ সরকারের জন্য খুবই প্রয়োজন।”

বিএনপি নেতা ইশরাকের মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর আইনি বাধা বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট থেকে কাটলেও তার সমর্থকেরা শপথ না পড়ানো পর্যন্ত এবং উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

নগর ভবনে কয়েকদিনের টানা অবস্থান কর্মসূচির মধ্যে বুধবার সকাল থেকে ইশরাককে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে কাকরাইল মোড়ে ও মৎস্য ভবনের সামনে অবস্থান নেন তার সমর্থকরা।





Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫