Logo
×

Follow Us

রাজনীতি

জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে একটা ব্যবস্থা করেন, সরকারকে মির্জা আব্বাস

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৫, ১২:২১

জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে একটা ব্যবস্থা করেন, সরকারকে মির্জা আব্বাস

নয়াপল্টনে তারুণ্যের সমাবেশ বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, “আন্দোলন করল ছাত্র-জনতা, আর উনারা ঘাড়ে চেপে বসেছেন। আমাদের ঘাড়ে চেপে বসেছে। উনারা বললেন সংস্কার করে নির্বাচন দেবেন। এই নয় মাসে যা পারেননি, নয় বছরেও পারবেন না, ৯০ বছরেও পারবেন না।”

সরকারকে নির্বাচন আয়োজনের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে একটা ব্যবস্থা করেন।

বুধবার নয়াপল্টনে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত এই সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন (ভার্চুয়ালি) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বক্তব্যে মির্জা আব্বাস বলেন, “তরুণদের এই আন্দোলন আমাদের দারুণভাবে আন্দোলিত করেছে। এই বয়সে আমরা এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে বেগম খালেদা জিয়াকে তিন বারের প্রধানমন্ত্রী করেছিলাম। আপনারাও তারেক রহমানের নেতৃত্বে আবারও দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারবেন।”

অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “গণমানুষের আকাঙ্ক্ষিত আস্থার একটি প্রতীক ছিল সরকার। কিন্তু ৯ মাসের কার্যক্রমে আমরা কিছু পাই নাই। শুধু পেয়েছি অবজ্ঞা। এ দেশের মানুষকে সরকার অবজ্ঞা করছে। এই সরকারের মধ্যে যারা আছে, আমি বলি এই সরকার ঔপনিবেশিক সরকার। এই সরকারের মধ্যে যারা আছে অর্থাৎ ৯০ ভাগই এদেশের নাগরিক নয়।”

মির্জা আব্বাস বলেন, আন্দোলন করল ছাত্র-জনতা, আর উনারা ঘাড়ে চেপে বসেছেন। আমাদের ঘাড়ে চেপে বসেছে। উনারা বললেন- সংস্কার করে নির্বাচন দেবেন। এই নয় মাসে যা পারেননি, নয় বছরেও পারবেন না, ৯০ বছরেও পারবেন না।

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এই দেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে একটা ব্যবস্থা করেন। কী ব্যবস্থা করবেন সেটা আপনারা ভালো জানেন।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, “আমি একটা মিটিংয়ে প্রশ্ন করেছিলাম সেন্টমার্টিন, সাজেকে কী হচ্ছে? সরকার এটা একটু আমাদের কাছে স্পষ্ট করুক। আজও সরকার স্পষ্ট করেনি। আজকে করিডর নিয়ে কথা হচ্ছে। করিডোরে লাভ কী, লস কী সেটা দেখার দরকার নেই? আমরা যেমন ছিলাম তেমন থাকতে চাই না। এরচেয়ে বেশি কিছু আমাদের দাবি নেই। করিডোরের কোনো প্রশ্নই আসে না।”

তিনি আরও বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দিচ্ছেন। উনি বলেছেন, ভালো মানুষের হাতে দিতে হবে। আমরা বুঝি আপনারা কী করছেন। এদেশের মানুষকে বোকা ভাববেন না। স্টারলিঙ্ক ছাড়া চলেছি, ওয়াইফাই ছাড়াও চলেছি। দেশ ভালোই ছিল। স্টারলিঙ্ক আনছেন কার জন্য? আনছেন আরাকান আর্মির জন্য। করিডোর কার জন্য, এখান দিয়ে আরাকান আর্মির মাল-মশলার জন্য। সেন্টমার্টিন কার জন্য, বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য।”

কিন্তু একজন তরুণ বেঁচে থাকলেও দেশের ভৌগলিক অখণ্ডতা বিঘ্নিত হতে দেব না। কেউ কেউ বলছেন- বাংলাদেশের মানচিত্র পরিবর্তন হবে। আমি জানতে চাই কী ধরনের পরিবর্তন হবে? ছোট হবে না বড় হবে।”

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “ওদের কাজকর্ম, কথাবার্তায় দেশপ্রেমিক মানুষের মনে ভীতির সঞ্চার হয়। আমরা যখন নির্বাচনের কথা বলি তখন তারা সংস্কারের কথা বলে। আমরা কাজের কথা বলি, তখন তারা অপকর্মের কথা বলে। আপনারা কোনো কাজ শেষ করতে পারবেন না।”

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “বিভিন্নভাবে চান্দাবাজি করছে। বিএনপির ওপর দায় চাপাচ্ছে। আপনারা সতর্ক থাকুন। আমরা আগেই বলেছি যারা চাঁদাবাজি করে তাদের কেন পুলিশ ধরে না।”




Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫