Logo
×

Follow Us

রাজনীতি

গণতন্ত্র পদে পদে বাধা পাচ্ছে: খালেদা জিয়া

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৫, ২০:১০

গণতন্ত্র পদে পদে বাধা পাচ্ছে: খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

শিগগরিই বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি আরও বলেছেন, “গণতন্ত্রের নিরবিচ্ছিন্ন যাত্রা আজও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রতি পদে পদে।”

বৃহস্পতিবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে দলের আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ৭ আগস্ট রাজধানীতে সমাবেশ করে বিএনপি। ওই সমাবেশে হাসপাতাল থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেন বিএনপি নেত্রী। এছাড়া আর কোনো দলীয় অনুষ্ঠানে তাকে দেখা যায়নি।

বিদেশে চিকিৎসা শেষে ফেরার পর এটাই দলীয় কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন খালেদা জিয়া।

বক্তব্যের শুরুতেই জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করে খালেদা জিয়া বলেন, “প্রতিবছর মে মাসের এই দিনটি আমাদের কাছে আসে বেদনা বিধুর এক স্মৃতি নিয়ে। এই দিনে শুধু আমাদের পরিবার নয়, বরং সমগ্র দেশই হয়ে উঠেছিল বেদনার্ত অভিভাবকহীন। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের জন্মের সাথে এক অবিচ্ছেদ্য নাম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। যে চট্টগ্রাম থেকে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে এদেশের সঙ্গে তার নাম অবিচ্ছেদ্য করে রেখেছিলেন, সেই চট্টগ্রামেই এক সফল, সৎ, দূরদর্শী দেশপ্রেমিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।”

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “এদেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্বনির্ভরতা, উন্নয়ন এবং নিজস্ব জাতীয়তাবাদ সৃষ্টির অনন্য রূপকার শহীদ জিয়া। যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা আর সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে তিনি শাহাদাত বরণ করেছেন, সেই গণতন্ত্রের নিরবিচ্ছিন্ন যাত্রা আজও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রতি পদে পদে।”

খালেদা জিয়া বলেন, “খুব শিগগিরই আমরা বাংলাদেশকে গণতন্ত্রে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত দেখতে পাব। এই হোক শহীদ জিয়ার শাহাদাতবার্ষিকীতে আমাদের অঙ্গীকার। এই লক্ষ্যে সবাইকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমি বিএনপির সকল পর্যায়ে নেতাকর্মী, শুভানুধ্যায়ী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

খালেদা জিয়া বলেন, “মনে রাখবেন, সবার জন্য গণতন্ত্র ও উন্নয়নের মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধানের যে রাজনীতি শহীদ জিয়া দিয়ে রেখে গেছেন, তা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।”

অন্তর্বর্তী সরকারের দশম মাসে এসে বিএনপি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দিতে জোরাল দাবি জানাচ্ছে। গত ২২ মে দলটি বলেছে, এই দাবি পূরণ না হলে তারা সরকারকে আর সহযোগিতা করবে না।

সেদিনই উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের কথা বলেন। বিষয়টি নিয়ে সেদিন সামাজিক মাধ্যম ও সংবাদ মাধ্যমে তুমুল আলোচনার মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান সরকারকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার পরামর্শ দেন।

গত শনিবার বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে এবং পরের দিন ছোট ছোট ২০টি দলের সঙ্গে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকে বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি লিখিতভাবে তুলে ধরে। তবে অন্য কোনো দল এমন দাবি জানায়নি। বরং তারা চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচনের বিষয়ে ইউনূসের বক্তব্যে আস্থা রেখেছে বলে জানিয়েছেন তার প্রেস সচিব।

শনিবার রাতে বিএনপির দাবির বিষয়ে সরকারের তরফে কোনো আশ্বাস না আসার তিন দিন পর মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি হতাশা প্রকাশ করে। তার পরদিন তিন সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সমাবেশে বিএনপির শীর্ষ নেতারা অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগের যে কথা বলেছিলেন, সেটিকে ‘নাটক’ আখ্যা দেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পর্ষদ স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

বুধবার দলীয় এক অনুষ্ঠানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জোর দিয়ে বলেছেন ডিসেম্বরেই নির্বাচন হবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়া দলটির শীর্ষ নেতারা আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫