জামায়াতে ইসলামীর লোগো।
বাতিল হওয়া নিবন্ধন ও ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “কমিশন নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। আশা করছি, আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়ন করবে তারা।”
সোমবার দুপুরে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আপিল বিভাগের রায়ের সংক্ষিপ্ত অনুলিপি জমা দেন জামায়াত নেতারা।
বৈঠকে সিইসি ছাড়াও অন্য কমিশনার ও সচিব উপস্থিত ছিলেন।
হামিদুর রহমান বলেন, “আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের আগে জামায়াতের নিবন্ধনের যে অবস্থা ছিল, তা ফিরিয়ে দিতে হবে। কমিশনের ফুল কমিশনের সঙ্গেই আলোচনায় বসেছি।”
প্রতীক প্রসঙ্গে জামায়াতের এই নেতা বলেন, “আমি নিজেই ২০০৮ সালের নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছিলাম। সেই প্রতীক ফিরে পাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “২০১৬ সালে দাঁড়িপাল্লা বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল প্রশাসনিক। এর চেয়ে বড় হলো আদালতের রায়।”
বৈঠকে সিইসি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, বেগম তাহমিদা আহমদ, আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
হামিদুর রহমান ছাড়াও বৈঠকে জামায়াত নেতাদের মধ্যে ছিলেন, দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য জসিম উদ্দিন সরকার উপস্থিত ছিলেন। আইনজীবী শিশির মনিরও ছিলেন বৈঠকে।
২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে প্রথমবারের মতো দলগুলোর নিবন্ধন চালু করে ইসি। তখন জামায়াত ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক নিয়ে নিবন্ধিত হয়। তবে ২০১৩ সালে হাই কোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে। আর ২০১৬ সালে কমিশনের ফুল কোর্ট সভার সিদ্ধান্তে প্রতীকটিও বাতিল হয়।
এরপর গত ১৪ মে আপিল বিভাগের শুনানি শেষে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে কমিশনকে নির্দেশ দেয় আদালত। তবে প্রতীক ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত কমিশনের ওপর ছেড়ে দেয়।