
পাচার হওয়া টাকা উদ্ধারে স্টারমার সহযোগিতা করবেন বলে মনে করেন ইউনূস।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের লন্ডন সফরের সময় তার সঙ্গে দেখা করতে রাজি হননি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।
লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার আমলে পাচার হওয়া টাকা উদ্ধারে যুক্তরাজ্যে এসেছেন ইউনূস। স্টারমার দেখা করতে রাজি না হওয়ার বিষয়টি তিনিই সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউনূসের সঙ্গে দেখা করার কোনো পরিকল্পনা নেই স্টারমারের।
ফিনান্সিয়াল টাইমসকে ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া টাকার বড় অংশই যুক্তরাজ্যে থাকার অভিযোগ রয়েছে। চুরি হওয়া এসব টাকা উদ্ধারে সাহায্য করতে যুক্তরাজ্যের উচিত ‘নৈতিক’ বাধ্যবাধকতা অনুভব করা।
স্টারমারের বিষয়ে সরাসরি কথা হয়নি জানিয়ে ইউনূস জানান, টাকা উদ্ধারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সাহায্য করবেন- এ বিষয়ে তার কোনো সন্দেহ নেই।
ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের অর্থনৈতিক বিষয়ে বাংলাদেশের তদন্ত স্টারমারের লেবার পার্টির ভাবমূর্তির ওপরেও খারাপ প্রভাব ফেলছে।
দুর্নীতির অভিযোগে নাম আসার পর জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতিমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ান শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি স্টারমারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
টিউলিপ দাবি করেছেন, তিনি কোনো ভুল কাজের সঙ্গে জড়িত নন। এরপরেও বিতর্কের মুখে প্রতিমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
চলতি সপ্তাহে এক চিঠিতে ইউনূসের লন্ডন সফরের সময় তার সঙ্গে দেখা করে ‘ভুল বোঝাবুঝির’ অবসান করতে চান টিউলিপ। তবে ইউনূস তার সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানান।
টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে ইউনূস বলেন, “এটি আইনি বিষয়। এটি আমার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিগত কিছু নয়।”
লন্ডনে চার দিনের সফরে রয়েছেন ইউনূস। ১৪ জুন তিনি দেশে ফিরবেন।