জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ‘সাংবাদিকতার নামে ভণ্ডামি’ ও ‘নোংরামি’র অভিযোগ তুলেছেন।

সোমবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এই অভিযোগ করেন এবং পেশাদারিত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানান।

সম্প্রতি তার এক বন্ধুর বাসা থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের দিকে ইঙ্গিত করে সারজিস তার পোস্টে লেখেন, “কালবেলা, কালের কন্ঠ কিংবা অন্য যে কোন মিডিয়া হাউজ, সাংবাদিকতার নামে আপনারা এই ভন্ডামি বন্ধ করেন। ছবি দেখে মনে হচ্ছে সারজিস কোথাও থেকে অবৈধ টাকা অর্জন করেছে। এরপরে বন্ধুর বাসায় রেখেছে। সেই বন্ধুর বাসা থেকে এই টাকা উদ্ধার করা হয়েছে! অথচ নিউজ হলে হওয়া উচিত ছিল- সারজিসের বন্ধুর বাসা থেকে তিন বস্তা টাকা পাওয়ার বিষয়টি মিথ্যা/গুজব।”

এ ধরনের সংবাদকে ‘ছ্যাচরামি’ আখ্যা দিয়ে তিনি লেখেন, “কোথাকার কোন চোর, কিসের টাকা চুরি, যেসব সম্পর্কে আমার বিন্দুমাত্র ধারণা নাই তাদের সাথে প্রথমে বন্ধুর ট্যাগ দেয়া, এরপরে ছবি এড করে দিয়ে সাংবাদিকতার নামে যে ছ্যাচরামি আপনারা করছেন এগুলো সাংবাদিকতার ন্যূনতম এথিক্সের পর্যায়ে পড়ে না। কমেন্টে থাকা আপনাদের নিউজের লিংক ১০% মানুষও পড়েনা। বাকি মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য কিংবা আমাদেরকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য আপনাদের এই নোংরামিগুলোই যথেষ্ট।”

এ ধরনের সাংবাদিকতা বন্ধ না হলে পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির এই নেতা।

তিনি লেখেন, “না হলে আগামীতে আমাদেরও লেখা শুরু করতে হবে- ‘শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী আমলে হাজারের অধিক বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সন্তোষ শর্মার সম্পৃক্ততা সম্পর্কে যা জানা গেল...’ কিংবা ‘সারাদেশে বসুন্ধরা গ্রুপের হাজার কোটি টাকার অবৈধ জমি দখল, খুন এবং ধর্ষণ সম্পর্কে যা জানা গেল...’।”

পোস্টের শেষে সাংবাদিকদের পেশাদারিত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে সারজিস লেখেন, “সাংবাদিকতায় পেশাদারিত্ব বজায় রেখেসাংবাদিকতা করুন। নাহয় কতিপয় তথাকথিত সাংবাদিকের জন্য এই সম্মানের পেশায় থাকা ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, পেশাদার, আপোসহীন সাংবাদিকদেরকে আগামীতে সম্মানহানীর মুখে পড়তে হবে।”