Logo
×

Follow Us

রাজনীতি

আবু সাঈদ হত্যা

আন্দোলন রূপান্তরিত হলো গণ-অভ্যুত্থানে

Icon

তাসীন মল্লিক

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৫, ১৪:৩৫

আন্দোলন রূপান্তরিত হলো গণ-অভ্যুত্থানে

১৬ জুলাই ২০২৪, সকাল ১০টা। রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক তরুণ আবু সাঈদ-বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু শুধু একটি মানবিক ট্র্যাজেডিই ছিল না, তা হয়ে ওঠে ছাত্র আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া একটি ঘটনা, একটি টার্নিং পয়েন্ট। কোটা সংস্কার আন্দোলন ক্রমে পরিণত হয় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে।

যে ছবিতে দেখা যায়, আবু সাঈদ দুই হাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে আছেন, মুখে অবিচল চাহনি তার পর মুহূর্তেই গুলির ধাক্কায় পেছনে পড়ে যাচ্ছেন সেই ফ্রেমটাই হয়ে ওঠে গণ-অভ্যুত্থানের প্রতীক।

হত্যার ক্ষোভ থেকে দাবানল

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন আবু সাঈদ। শান্ত স্বভাব, পড়ালেখায় মনোযোগী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর শাখার একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবেও তিনি কাজ করছিলেন।

দুই হাতে লাঠি ধরে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় তাকে কাছ থেকে পুলিশের গুলির দৃশ্য দেখে কেবল রংপুর নয় সারা দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে আসে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট সব বিভাগেই ছড়িয়ে পড়ে প্রতিবাদ।

তার হত্যা নিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বিবৃতি দেয়, যেখানে ‘অ্যাক্ট অব স্টেট কিলিং’ বলে উল্লেখ করা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিবৃতিতেও ঘটনাটিকে ‘গভীর উদ্বেগজনক’ বলা হয়।

সরকারের প্রায় সব বাহিনীর শক্তি প্রয়োগ, প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার কোনো কিছুতেই এরপর আর কাজ হয়নি। কারফিউ ভেঙে বেরিয়ে আসে মানুষ। পতন ঘটে টানা সাড়ে ১৫ বছরের দাপুটে শাসনের। যে শাসনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনের ফল ছিল শূন্য, সেই শাসন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে।

নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে যেমন নূর হোসেন, ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানে যেমন আসাদ ও শামসুজ্জোহা প্রতীক হয়ে গেছেন, ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানেও তেমনি প্রতীকে পরিণত হয়েছেন আবু সাঈদ।

এই গণ-অভ্যুত্থানে সরকারের হিসাবে সাড়ে আটশ আর জাতিসংঘের অনুমানে ১৪০০ মানুষের প্রাণ গেছে। এই মানুষের মধ্যে আবু সাঈদের নামই উচ্চারিত হয় সবচেয়ে বেশি। তিনি হয়ে গেছেন অভ্যুত্থানে সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক।

অভ্যুত্থানের সূচনার ১ জুলাই থেকে যত স্মরণ অনুষ্ঠান হয়েছে, সবখানেই সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত নাম আবু সাঈদ।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতা এবং বর্তমানে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আবু সাঈদ যেভাবে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিল, সেটাই গণ-অভ্যুত্থানের অনুপ্রেরণা। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে এই আন্দোলন গণবিস্ফোরণে রূপ নেয়, গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয় এবং স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটায়।

এই পতন ঘটাতে ভূমিকা পালন করেছিল আবু সাঈদের মৃত্যু। ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনা যখন আমরা শহীদ মিনার থেকে শুনতে পেয়েছিলাম, পুরো বাংলাদেশ তখন শোকে-দ্রোহে কেঁপে উঠেছিল।’

কোটা আন্দোলন থেকে গণ-অভ্যুত্থান

২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে সে সময়ের সরকারের ঘোষণা আসে, কোটা থাকবে না। সেই আন্দোলন থেমেও যায়। তবে একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ৫ জুন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ সেই কোটা বাতিলের আদেশকে অবৈধ ঘোষণা করেন।

ফের জ্বলে ওঠে স্ফুলিঙ্গ। কোটাব্যবস্থার বিরুদ্ধে সংগঠিত হয় শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গড়ে তোলেন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম। শুরু হয় কর্মসূচি।

প্রথম দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও রাজু ভাস্কর্যের সামনে প্রতীকী অবস্থান, রাজু ভাস্কর্য থেকে শাহবাগ পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল, ৫ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর নিয়ে একটি গণচিঠি তৈরি হয়। প্রতিবাদী কবিতা, গান ও পথনাটক পরিবেশিত হতে থাকে।

৭ জুলাই ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে সারা দেশে গণপরিবহন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়; ঢাকায় কেবল মেট্রোরেল চলেছিল। ৮ জুলাই সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে ১০ জুলাই দিনব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ৯ জুলাই আন্দোলনকারীরা ক্লাস বর্জন করে ঢাকার প্রধান মোড়ে সরকারি প্রচারবিরোধী ভিডিও ও ছবি প্রদর্শন কর্মসূচি পালন করে। ১১ জুলাই প্রথম সংঘর্ষ শুরু হয়; কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ হামলা চালায় এবং কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।

১৪ জুলাই ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের রাজাকারের নাতিপুতি আখ্যা দিলে জ্বলে ওঠে ছাত্রসমাজ, নতুন রূপ পায় আন্দোলন। রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল বের হয়, সেøাগান ওঠে, ‘তুমি কে আমি কে রাজাকার, রাজাকার; কে বলেছে কে বলেছে, স্বৈরাচার স্বৈরাচার।’

১৫ জুলাই ছিল আন্দোলনের প্রথম উত্তাল দিন। সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে ছাত্ররা সমবেত হয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন; পরে মিছিল নিয়ে হলপাড়ার দিকে যান। বিকেল ৩টার পর ছাত্রলীগ হামলা শুরু করে। রড, হকিস্টিক, দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়। রাতে রাজধানীর অন্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়েও হামলা ও বাধার ঘটনা ঘটে।

এরপর ১৬ জুলাই সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেদিন প্রাণ হারান আবু সাঈদ, সূচনা হয় গণবিদ্রোহের।

মোড় ঘোরানোর ১৬ জুলাই

সেদিনের আন্দোলনে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও নেমে আসেন। ব্র্যাক, প্রাইম এশিয়া, ইস্ট ওয়েস্ট, এআইইউবি, এনএসইউ, আইইউবিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের সঙ্গে শুরু হয় সংঘর্ষ।

চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র ও ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম আকরাম চট্টগ্রামে, রংপুরে আবু সাঈদ ছাড়াও ঢাকায় প্রাণ হারান আরো দুজন। শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সেদিনই সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।

এই সময়ের মধ্যে আবু সাঈদের দুই হাত প্রসারিত করে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিও ঝড়ের বেগে ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতালে মৃত্যুর পর তার মরদেহ নিয়ে মিছিল হয়, তারপর জেলায় জেলায় বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো মানুষ রাস্তায় নামে। কোটা সংস্কারের গণ্ডি পেরিয়ে তা রূপ নেয় সরকারবিরোধী গণবিক্ষোভে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আবু সাঈদ হত্যার বিষয়ে জানায়, ১৪ মিটার দূর থেকে পেলেটযুক্ত শটগানের গুলিতে তিনি বিদ্ধ হন। তার বুকে অন্তত ৪০ থেকে ৫০টি পেলেটের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

পরের দিন, আশুরার সরকারি ছুটিতে কোনো কর্মসূচি আসেনি। তবে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ফেসবুক পেজে ঘোষণা দেয়, ১৮ জুলাই সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ পালন করা হবে। এই সময় হাসপাতাল ও জরুরি সেবাবহির্ভূত সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে এবং অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কোনো যানবাহন চলবে না। সেই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির দিন ৩৫ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে সংঘাত ও সহিংসতা। কারফিউ আরোপ করেও আন্দোলন থামানো যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় আবু সাঈদ হত্যা

জাতিসংঘ বলছে, সাঈদ শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ছিলেন এবং তার হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না। সংস্থাটি এটিকে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর বিচারবহির্ভূত হত্যা হিসেবে অভিহিত করে।

রংপুর চেম্বার অব কমার্স পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী সিয়াম আহসান আয়ান আবু সাঈদ হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী।

সাম্প্রতিক দেশকালকে সেদিনের ঘটনা বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘সকালবেলা রংপুর জিলা স্কুলের সামনে আমরা জড়ো হয়ে মিছিল শুরু করি। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলাম, পথেই পুলিশ প্রথমবার লাঠিপেটা করে। আমি পড়ে যাই, আবার উঠে মিছিলে যোগ দিই। এর মধ্যে খবর আসে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ছাত্রলীগ অস্ত্র হাতে অবস্থান নিয়েছে, তারা নিশ্চিত হামলা চালাবে। আমরা আত্মরক্ষার জন্য রাস্তায় গাছের ডাল ভেঙে নিই, মিছিল আবার এগিয়ে চলে। পার্কের মুখে পৌঁছানোর পর হঠাৎ শুরু হয় টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড আর পুলিশি হামলা। তখনই আমি দেখি, এক ছেলেকে, পরে জানি সে আবু সাঈদ, তাকে দুইবার গুলি করা হয়। আমি ১৫ থেকে ২০ হাত দূরে ছিলাম।’

সে সময় এক পুলিশ কর্মকর্তা চিৎকার করে কী বলছিলেন, সেটিও এখনো স্পষ্ট মনে আছে সিয়ামের। তিনি বলেন, “ভেতর থেকে এক অফিসার চিৎকার করে উঠলেন, ‘এত ক্লোজ রেঞ্জে গুলি কইর না, মারা যাইব’।”

কিন্তু ততক্ষণে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান আবু সাঈদ। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। সিয়াম দৌড়ে যান তাকে উদ্ধার করতে।

“আমি দৌড়ে গিয়ে ভাইকে টেনে আনি। সে তখনো বাঁচার চেষ্টা করছিল, আমাকে আঁকড়ে ধরছিল। বলতে চাইছিল, ‘ভাই, আমাকে বাঁচাও।’ কিন্তু দেখি তার গলা পর্যন্ত রক্ত উঠে আসছিল, কিছু বলতে পারছিল না।”

আবু সাঈদকে টেনে আনার সময় নিজেও আহত হন সিয়াম। 

প্রথমে দায় অস্বীকার, পরে চাপের মুখে তদন্ত

আবু সাঈদের মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগ সরকার শুরুতে এ ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক কিন্তু বিচ্ছিন্ন’ হিসেবে বর্ণনা করে। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রথমে পুলিশের গুলির কথা অস্বীকার করেন এবং আন্দোলনকারীদের ‘উসকানিমূলক আচরণকারী’ হিসেবে অভিযুক্ত করেন।

পরে জনরোষ বাড়লে সরকার একটি প্রশাসনিক তদন্ত কমিটি গঠন করে, যার প্রধান ছিলেন রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। তবে এই তদন্তকে অনেকেই পক্ষপাতদুষ্ট এবং তথ্য গোপনের প্রচেষ্টা হিসেবে সমালোচনা করেন।

আন্তর্জাতিক চাপ ও জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রতিবেদনের পর পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। বাধ্য হয়ে তৎকালীন সরকার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয় এবং একাধিক পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করে।

ততক্ষণে গণ-অভ্যুত্থান শুরু হয়ে গেছে। ৫ আগস্ট সরকার পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এই আলোড়ন।

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না সাম্প্রতিক দেশকালকে বলেন, ‘আবু সাঈদের মৃত্যু অন্য যেকোনো মৃত্যুর চেয়ে আলাদা। তিনি পুলিশের ছোড়া গুলি বুক পেতে নিয়েছেন। এমন শহীদ মৃত্যু মানুষকে অকুতোভয় করে আন্দোলনে নামিয়েছে।’

লেখক : স্টাফ রিপোর্টার, দেশকাল নিউজ ডটকম

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫