
ঢাকার শাহবাগে ছাত্র সমাবেশকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হতে পারে এমন যেকোনো জনদুর্ভোগের জন্য জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আগেই নগরবাসীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করছে।
প্রথমে এই সমাবেশ জাতীয় শহীদ মিনারে করার সিদ্ধান্ত ছিল। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অনুরোধে ছাত্রদল সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করে শাহবাগে আনার সিদ্ধান্ত নেয়।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এ তথ্য জানায়।
ছাত্রদলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৩ আগস্ট শহীদ মিনারে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস থেকে এ বিষয়ে অনুমতিও নিয়েছিল। কিন্তু পরে এনসিপির পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে একই দিনে সমাবেশের অনুরোধ জানানো হয়। এই দিনে শহীদ মিনারে সমাবেশ করার বিষয়ে বৈধ অনুমতি ছাত্রদলেরই ছিল।
একটি উদার, গণতান্ত্রিক, পরমতসহিষ্ণু, সকল মত ও পথের সহাবস্থানে জায়গা থেকে ছাত্রদল এই অনুরোধ গ্রহণ করে এবং সমাবেশ শহীদ মিনার থেকে শাহবাগে সরিয়ে নেয়।
ছাত্রদল জানায়, রাজধানীর ব্যস্ত সড়কে কর্মদিবসে সমাবেশ হওয়ায় জনভোগান্তি হতেই পারে এটি তারা জানে। তারপরও ঐক্যবদ্ধ ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের স্বার্থে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগাম দুঃখ প্রকাশ করে তারা আশা প্রবাশ করেছে, নগরবাসী বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রদল বলে, “একটি দায়িত্বশীল ছাত্রসংগঠন হিসেবে ভবিষ্যতে এই বিষয়ে আমরা আরও সচেতন থাকবো, ইনশাআল্লাহ।”
রবিবার দুপুর ২টায় এই সমাবেশে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল।
এর আগে, বুধবার ছাত্রদলের সভাপতি রাকিব এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমরা চাইলে পূর্বঘোষিত স্থানেই সমাবেশ করতে পারতাম। কিন্তু আমরা কাঁটার বদলে ফুল তুলে দিলাম। আমরা উত্তেজনার বদলে শান্তির বার্তা দিতে চেয়েছি। এটি আমাদের উদারতার পরিচয়।”