
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান বলেছেন, “সামনে অনেক কাজ, অনেক চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। দেশের মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। তারা বিএনপিকে আস্থায় রাখতে চায়। আমাদের নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে; তা নাহলে আমরা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারব না। আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ জনগণের আস্থা অর্জন করার পাশাপাশি রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়ন করা।”
রবিবার রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ৩০ মিনিটের বক্তব্যে তিনি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকাসহ রাষ্ট্র পুনর্গঠনে আসন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ওপর জোর দেন।
দেশ গড়তে বিএনপিই প্রথম সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেছে জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, “গত আড়াই বছর আগে রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা দিয়েছিলাম। বর্তমানে রাষ্ট্র সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে, যা বিএনপি আগেই বলেছিল। আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ জনগণের আস্থা অর্জন করার পাশাপাশি ৩১ দফার বাস্তবায়ন। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে না পারলে দেশ পিছিয়ে যাবে।”
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “স্বৈরাচার বিতাড়িত হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে মূল আন্দোলন ছিল রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই অধিকার বাস্তবায়নের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের মধ্যদিয়ে সেই অধিকার বাস্তবায়ন হবে। শুধু ভোট হলেই হবে না, সরকার গঠন করলেই হবে না- দেশের অধিকাংশ জনগণ বিএনপির ওপর আস্থা রাখতে চায়। আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ জনগণের সমর্থন পাবে।”
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ আমলে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থাকে পরিকল্পিত ভাবে ধ্বংস করা হয়েছিল। বিগত স্বৈরাচারের সময় এমনভাবে স্বাস্থ্যব্যবস্থা সাজিয়েছিল, যাতে পার্শ্ববর্তী একটি দেশে গিয়ে মানুষ সেবা নিতে বাধ্য হয়। এই দেশে হাসপাতাল ধ্বংস করে ইচ্ছে করে রোগীদের পার্শ্ববর্তী দেশে পাঠিয়ে দিত। তারা চিকিৎসার নামে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়ে দিত। আমাদের এখন নিজস্ব চিকিৎসক ও নার্স গড়ে তুলতে হবে, যাতে দেশের মানুষ এই দেশের হাসপাতালেই উন্নত চিকিৎসাসেবা পায়।”
তারেক রহমান বলেন, “বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে নির্বাচনব্যবস্থা, আইনব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থাসহ অর্থনীতি ধ্বংস করে ফেলা হয়। আমাদেরকে সেখান থেকে দেশকে উত্তরণ ঘটাতে হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে, কলকারখানা নির্মাণ করতে হবে।”