Logo
×

Follow Us

রাজনীতি

পিআর পদ্ধতির ভোটে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন মরিয়া কেন?

Icon

তাসীন মল্লিক

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৫, ১৭:২৪

পিআর পদ্ধতির ভোটে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন মরিয়া কেন?

স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৯ সালে রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরুর পর ৪৫ বছরে প্রথমবারের মতো ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

সংস্কার একেক দল, একেক ব্যক্তির কাছে তৈরি করেছে ভিন্ন ভিন্ন চাওয়া–পাওয়া। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের প্রধান চাওয়া মূলত নির্বাচন পদ্ধতি পাল্টে দিয়ে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে ভোটের ব্যবস্থা।

দল দুটি মনে করছে, এতে তাদের সংসদে আসন পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি বেড়ে যাবে—প্রচলিত পদ্ধতি যে নিশ্চয়তা দিতে পারে না।

স্বাধীন বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী কোনো রকম সমঝোতা বা জোট ছাড়া ভোট করে খুব একটা সুবিধা কখনও করতে পারেনি। ইসলামী আন্দোলন একবার বিরোধীদের অনুপস্থিতিতে বরগুনার একটি উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারলেও ওই আসনে এমনিতে তাদের তেমন কোনো শক্তি নেই।

তবে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা ভোটের বাইরে থাকলে এবং ভোটের পদ্ধতি যদি সংখ্যানুপাতিক বা পিআর হয়, তাহলে সেই চিত্র পাল্টে যেতে পারে।

অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রথম থেকেই সর্বাত্মক সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে আসা প্রচলিত একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ভিত্তিক ভোটপদ্ধতির বিপরীতে পিআর বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ধর্মভিত্তিক দল দুটি।

তাদের দাবি অনুযায়ী, প্রচলিত পদ্ধতিতে জনমতের প্রতিফলন ঘটছে না বলেই তারা পিআর পদ্ধতি চাইছেন।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম  বলেন, ‘‘আমরা তো চাই যে সব ভোটারের মূল্যায়ন হবে। এ জন্য এই পদ্ধতিতে (পিআর) নির্বাচন চাইছি।”

এই পদ্ধতির পক্ষে থাকার কারণ তুলে ধরে তিনি বলেন, “এখন তো এক লাখ ৫০ হাজার ভোট পেয়ে পাস করে আর একজন জন এক লাখ ৪৯ হাজার ভোট পেয়ে ফেল করে। কিন্তু যখন পিআর পদ্ধতিতে ভোট হবে তখন তো সবার ভোটের মূল্য হবে।”

প্রচলিত পদ্ধতিতে ভোট আর আসনের হিসাবে বিস্তর ফারাক

বাংলাদেশে যতগুলো জাতীয় নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে ভোটের হিসাবে ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী বিএনপি ও পরাজিত আওয়ামী লীগ ছিল কাছাকাছি, তবে আওয়ামী লীগের আসন ছিল ৮৮টি, আর বিএনপির ১৪০টি।

২০০১ সালেও প্রায় একই ঘটনা ঘটে। অষ্টম সংসদ নির্বাচনে দুই দলের মধ্যে ভোটের হিসাবে পার্থক্য ছিল দশমিকের ঘরে, কিন্তু বিএনপি আসন পায় ১৯৩টি, আওয়ামী লীগ পায় ৬২টি।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে এককভাবে প্রায় ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েও আসন পায় কেবল ৩০টি।

কীভাবে আসন বণ্টন, প্রভাব কী

পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়িত হলে ছোট দলগুলোও তাদের জাতীয় সমর্থনের অনুপাতে সংসদে প্রতিনিধিত্ব পেতে পারে। জামায়াতের মতো দলগুলোর জন্য তা আশীর্বাদ। কারণ তারা অনেক আসনে সরাসরি জয়লাভ করতে পারে না, তবু জাতীয়ভাবে একটি স্থায়ী ভোটব্যাংক রয়েছে, যা পিআর পদ্ধতিতে আসনে রূপান্তরিত হওয়ার সুযোগ পাবে।

সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে মোট প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে সংসদে আসন বণ্টন হবে। যেমন, জামায়াত যদি ১০ শতাংশ ভোট পায়, তাহলে তারা ৩০টি আসন, ২০ শতাংশ ভোট পেলে পাবে ৬০টি আসন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে পিআর চালু হলে সংসদীয় প্রতিনিধিত্বে বড় পরিবর্তন আসবে। ছোট দল ও নতুন রাজনৈতিক শক্তি প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে আসন পাবে, ফলে বহুদলীয় অন্তর্ভুক্তি বাড়বে। তবে একক দলের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া কঠিন হয়ে জোট সরকার অপরিহার্য হবে, যা মতের বৈচিত্র্য নিশ্চিত করলেও রাজনৈতিক অস্থিরতার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

তবে এই পদ্ধতির জটিলতা কম নয়, যে কারণে এই পদ্ধতি থেকে বের হয়ে গেছে বিশ্বের অনেক দেশ।

রাজনীতি ও সুশাসন বিষয়ে একাধিক গ্রন্থের লেখক এবং সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার দেশকাল নিউজ ডটকমকে বলেন, ‘‘পিআরের পক্ষে ও বিপক্ষে দুটো যুক্তি রয়েছে। পক্ষে যুক্তিটা হলো, এতে স্বৈরশাসনের আশঙ্কা কিছুটা কমতে পারে। কারণ এতে কেউই বেশি আসন পাবে না এবং আসন নানাভাবে ভাগ হবে।

“তবে যদি এতগুলো দল সংসদে প্রবেশ করে এবং আসন ভাগাভাগি হয়, তাহলে এতে অনৈক্য ও বিশৃঙ্খলা বাড়তে পারে। সুবিধাবাদ বেড়ে যেতে পারে। একদিকে অনৈক্য, বিশৃঙ্খলা ও সুবিধাবাদের আশঙ্কা এবং অন্যদিকে স্বৈরশাসনের আশঙ্কা—এই দুইয়ের মধ্যে কোনটা ভালো হবে, তা এই মুহূর্তে বলা মুশকিল।”

আবার প্রশাসনিকভাবে পদ্ধতিটি জটিল। জাতীয়ভাবে ভোট গুনে আসন বণ্টন করতে হবে এবং দলীয় তালিকা থেকে সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় ভোটার–প্রতিনিধির সরাসরি সম্পর্ক দুর্বল হতে পারে।

সামাজিকভাবে নারীদের, সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব বাড়বে, তবে তালিকা প্রণয়নে স্বচ্ছতার অভাব বিতর্ক তৈরি করতে পারে। সুষ্ঠু বাস্তবায়ন জনআস্থা বাড়াতে সক্ষম হলেও দুর্বল ব্যবস্থাপনা আস্থাহীনতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা ডেকে আনতে পারে।

আবদুল আউয়াল মজুমদার বলছেন, ‘‘ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলো বারবার বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ করে দেখেছে কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ। এরপর তারা স্থিতি স্থাপন করেছে। তাই আমাদেরও একবার চেষ্টা করে দেখা ক্ষতি হবে না।

“বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার অস্থিতিশীল কারণ সম্প্রতি বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটেছে। ফলে ভবিষ্যতে সঠিক সময় হলে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে।”

প্রধান দাবিই এটি

সম্প্রতি সংবিধান সংস্কার কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবে উঠে আসে দ্বি–কক্ষবিশিষ্ট সংসদের প্রস্তাব। যেখানে শুধু জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি চালুর বিষয়ে প্রায় ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো।

জামায়াতে এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সংসদের উচ্চকক্ষ এবং নিম্নকক্ষ দুই জায়গায় পিআর পদ্ধতি চালুর দাবি জানিয়েছে।

গত ১০ আগস্ট প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এই দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

দলের কেন্দ্রীয় নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, সংস্কার ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে তারা কেবল অংশ নেবেন না তা নয়, সেই নির্বাচন প্রতিহতও করবেন।

জামায়াতের মতো মরিয়া ইসলামী আন্দোলনও, যাদের সারাদেশে যে পরিমাণ ভোট আছে, তাতে কয়েকজন নেতার সংসদে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে, যদিও এককভাবে কোনো আসনে জয়লাভের মতো অবস্থান তারা কখনও তৈরি করতে পারেনি।

চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন দলটির যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান দেশকাল নিউজ ডটকমকে বলেন, ‘‘আমাদের দলীয় প্রধান দাবি। এটা নিয়ে আরও অনেক রাজনৈতিক দলের কথা আছে। সরকার তো এটা এজেন্ডাতেও আনেনি, এটা নিয়ে আমরা নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছি।”

ইসলামী আন্দোলনও কি জামায়াতের মতো আন্দোলনের কথা ভাবছে?—এই প্রশ্নে তিনি বলেন, “আন্দোলন তো করবই, যেহেতু এটা আমাদের প্রধান ইস্যু। আমরা জনমত গঠন করব, এ দাবি আমাদের থাকবেই। আমাদের বক্তব্য হলো, যদি সংস্কার না হয়ে নির্বাচন হয় তাহলে তো আগের মতোই হবে।”

পিআরের ছাঁচে ইতিহাস বিশ্লেষণ

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে থাকা জামায়াত স্বাধীনতার পর নিষিদ্ধ হওয়ায় ১৯৭৩ সালের প্রথম সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের চার বছর পর ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটি ফিরলেও নিজ নামে অংশ নেয়নি।

ওই বছর ধর্মভিত্তিক দলগুলোর মোর্চা ‘ইসলামিক ডেমোক্র্যাটিক লীগ’-এর একটি দল ছিল জামায়াত। এই জোট আসন পায় ২০টি, যাদের মধ্যে ছয় জন ছিলেন জামায়াত নেতা।

১৯৮৬ সালের তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে এককভাবে অংশ নিয়ে ১০টি আসন জিতেছিল জামায়াত, ভোট পেয়েছিল ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ।

১৯৮৮ সালে ভোট বর্জন করা জামায়াতের ১৯৯১ সালের নির্বাচনের ফলাফল ছিল বিস্ময়কর। তারা এককভাবে প্রায় ১২ শতাংশ ভোট আর ১৮টি আসনে জয়ী হয়।

জামায়াতের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান পরে এক বইয়ে লিখেছেন, এই নির্বাচনে তাদের সঙ্গে বিএনপির অঘোষিত সমঝোতা ছিল। ৩৫টি আসনে বিএনপি জামায়াতকে গোপন সমর্থন দেয়, বাকি আসনগুলোতে বিএনপিকে ছাড় দেয় তারা।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি আন্দোলনে অংশ নেওয়া জামায়াত ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির একতরফা নির্বাচন বর্জন করে।

তবে ১২ জুনের ভোটে তারা এককভাবে অংশ নেয়, এবার বিএনপির সঙ্গে কোনো সমঝোতা ছিল না। তাতে তাদের আসল শক্তির পরীক্ষা হয়ে যায়।

ওই নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লায় ভোট পড়ে প্রাপ্ত ভোটের ৮ দশমিক ৬ শতাংশ, জামায়াত আসন পায় সবে ৩টি।

২০০১ সালে বিএনপির জোটের শরিক হিসেবে ৩৫টি আসনে ছাড় নিয়ে জামায়াত ভোটে যায়। তারা ১৭টিতে জেতে, মোট ভোটে হিস্যা ছিল ৪ দশমিক ২৮ শতাংশ।

২০০৮ সালে একই জোটে নির্বাচনে অংশ নিলে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট নিয়ে ২টি আসন পায় দলটি।

যদি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতি চালু হত, জামায়াতের ফলাফল অনেকটাই পরিবর্তিত হতে পারত। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে তারা মোট ভোটের প্রায় ১২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ৩৭টি আসন পেতে পারত। ১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে এভাবে আসন হতে পারত ২টি।

আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতি বড় সুযোগ

জামায়াতের ভোট যদি ১৯৯৬ সালের মতো ৮ শতাংশ ধরা যায়, আর এবারের নির্বাচনে যদি নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ অংশ নিতে না পারে এবং তাদের সমর্থকরা যদি কেন্দ্রে না আসে, তাহলে সংখ্যায় না বাড়লেও শতকরা হারে জামায়াতের ভোট বেড়ে যাবে। এতে তাদের আসন সংখ্যাও বেড়ে যাবে।

আওয়ামী লীগ অনুসারীরা ভোটে না এলে জামায়াতের সেই ৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট অনায়াসে ১৬ বা ১৭ শতাংশ হয়ে যাবে, সে ক্ষেত্রে জামায়াতের পক্ষে ৪৮ থেকে ৫১টি আসন পাওয়া সম্ভব হবে।

জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ‘‘আমাদের দাবি হলো, জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচন। এই দাবিতেই আমরা কর্মসূচি দিয়েছি। দলীয় কর্মসূচিতে নির্বাচনে পিআর পদ্ধতির দাবিটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।”

একইভাবে ইসলামী আন্দোলনের ১ শতাংশ ভোট তখন ২ শতাংশ হয়ে যেতে পারে, তখন তাদের ছয় জন নেতা সংসদে যেতে পারবেন।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম বলেন, ‘‘আমরা তো পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের জন্য কর্মসূচি দিচ্ছি। আগামীতেও আমাদের কর্মসূচি আছে। একটি সেমিনারও হবে।”

বিএনপি তো এই পদ্ধতিতে রাজি না। ঐকমত্য না হলে তখন সরকার যদি রাজি না হয়, তখন জামায়াত ভোটে যাবে না?—এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘তো সরকার কি সব দলকে নিয়ে নির্বাচনে যাবে না?’’

ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তো প্রায় সব দল এই পদ্ধতির বিষয়ে একমত—দাবি করে তিনি বলেন, “বিএনপি এত মত পরিবর্তন করলে তো হবে না।”

দাবি আদায়ে জামায়াত কতটা কঠোর হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘কঠোর কর্মসূচি আগে বুঝাত হরতাল। এটা না। সমাবেশ করলেই তো সরকারের সাড়া দেবে। কারণ, তারা তো সব দলের সমর্থনে। সরকারের উচিত জনগণের চাহিদা অনুসারে সিদ্ধান্ত নেওয়া।”

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫