Logo
×

Follow Us

রাজনীতি

কোনো বেঠিক বক্তব্য দেই না, বিএনপির চিঠির প্রতিক্রিয়ায় ফজলুর

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১৬:০৮

কোনো বেঠিক বক্তব্য দেই না, বিএনপির চিঠির প্রতিক্রিয়ায় ফজলুর

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান।

‘৫ আগস্ট ঘটাইছে জামায়াত’ বলে বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান বলেছেন, তিনি কোনো ভুল বক্তব্য দেননি।

বিএনপির নোটিশটি একজন বার্তাবাহক পৌঁছে দিয়েছেন জানিয়ে তিনি এর জবাব দেওয়ার কথাও বলেছেন।

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারের ঢাকা সফরের সঙ্গে এই নোটিশের যোগসূত্রও খুঁজছেন ফজলুর।

 এক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা।

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ফজলুরের সাম্প্রতিক একটি বক্তব্য তুমুল আলোচনা তৈরি করেছে। তিনি একে ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে এই জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোকেই দায়ী করেছেন।

তার ভাষায়, “এটি কোনো সাধারণ রাজনৈতিক ঘটনা নয়, বরং একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, যার মূল পরিকল্পনাকারী ‘কালো শক্তি’ জামায়াত।”

একটি টেলিভিশন চ্যানেলে টক শোতে তার পুরো বক্তব্যটা ছিল এমন— “যারা ৫ আগস্ট ঘটাইছে, কালো শক্তি, সেই কালো শক্তির নাম হলো জামায়াতে ইসলাম, তাদের যে অগ্রগামী শক্তি তার নাম হইল ইসলামী ছাত্রশিবির। সারজিস আলমরা, যারা ওই এইটার (অভ্যুত্থানের) অভিনয় করছে, ৫ আগস্টের অভিনেতা যারা, আমি তাদেরকে নেতা বলতে আর চাই না, তাদের আমি অভিনেতা বলব। সেই আলবদর, আল শামস, জামায়াতে ইসলাম আমরা মনে করেছিলাম ৫৪ বছর পর পূর্বপুরুষের পরাজয়ের গ্লানি তারা ভুলে গেছে। কিন্তু না, সেই পরাজয়ের গ্লানি দ্বিগুণ আকারে তাদের মধ্যে এসেছে।”

জামায়াত ‘চক্রান্ত করে’ দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং তাদের পেছনে ‘আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র’ আছে বলেও দাবি করেন তিনি।

এই বক্তব্য তুমুল আলোচনা তৈরি করলে রবিবার বিএনপির পক্ষ থেকে ফজলুরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ‘উদ্ভট’ ও ‘শৃঙ্খলা পরিপন্থী’ বক্তব্যের কারণে কেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার লিখিত জবাব চাওয়া হয়।

১৯৮৬ সালে কিশোরগঞ্জ সদর আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ভোটে জিতে সংসদ সদস্য হওয়া ফজলুর রহমান সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে বিএনপিতে চলে যান। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি বিএনপির মনোনয়নে কিশোরগঞ্জ-৪ আসন থেকে ভোটেও লড়েন।

ফজলুর ক্রমাগত মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে যাচ্ছেন, জামায়াত-শিবিরকে রাজাকার-আলবদর বলে আক্রমণ করছেন, ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধেও কথা বলছেন, যা নিয়ে ধর্মভিত্তিক দলগুলো বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে।

বিএনপির নোটিশে বলা হয়েছে, “আপনি জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতেও আঘাত দিয়ে কথা বলছেন।”

 ফজলুর বলেন, “আমি নোটিশটি রবিবার রাত ৯টার দিকে পেয়েছি। একজন বার্তাবাহক বাসায় পৌঁছে দিয়ে যায়। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নোটিশের জবাব দেব।”

কবে, কখন জবাব দেবেন— এই প্রশ্নে তিনি বলেন, “এখনও হাতে আরও সময় আছে। দেখি কী করি।”

তবে নোটিশের জবাব দেওয়ার আগে এ বিষয়ে কোনো কথা বলবেন না বলে জানান তিনি।

নিজের বক্তব্যে এখনও অটল ফজলুর। তিনি বলেন, “আমি বেঠিক বক্তব্য দেই না, কোনোদিন দেইনাই।”

তাহলে এই নোটিশের কী কারণ বল মনে করেন?— এই প্রশ্নে ফজলুর পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরের প্রসঙ্গ টানেন।

তিনি বলেন, "মেহমান যারা এসেছেন, তাদের সঙ্গে আমার নোটিশ পাওয়ার যোগসূত্র আছে কি না, তা দেখার অনুরোধ করি।”

তার বাসার নিচে সাত-আটজন ছেলে-মেয়ে সকাল থেকে মব সৃষ্টি করছে বলেও উল্লেখ করেন বিএনপি নেতা। বলেন, “কিন্তু মব কে আমি ভয় পাই না। মৃত্যুকে আমি ৭১ সালে ছুঁয়েছি। এখন আর ভয় নেই।”

ফজলুর রহমান ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫