নির্বাচন ফেব্রুয়ারির মধ্যে হতে হবে: শামসুজ্জামান দুদু

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৫, ১৭:২৩
-68b430aaa36bd.jpg)
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় কথা বলছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়াই এখন দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন কোনোভাবেই ফেব্রুয়ারি মাস অতিক্রম করা যাবে না।
রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “বিচার বিচারের জায়গায় হবে। নির্বাচন নির্বাচনের জায়গায় হবে। আর সেটা কোনভাবেই ফেব্রুয়ারি অতিক্রম করা যাবে না।”
একটি গোষ্ঠীর পিআর পদ্ধতির দাবির সমালোচনা করে তিনি বলেন, “একটা গোষ্ঠী বলছে পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন হবে না। তারা নির্বাচনে যাবে না। তারা নির্বাচনে না গেলে কি বাংলাদেশ চলবে না? তারা তো বাংলাদেশই চায় নাই।”
নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, “আপনারা যদি অনেক জনপ্রিয় হয়ে থাকেন তাহলে নির্বাচন দেখে ভয় পাচ্ছেন কেন। নির্বাচনে আসেন, জনগণ চাইলে আপনারা ক্ষমতায় বসবেন।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য রক্ত দিয়েছে। ৭১ মনে নাই? বাধা দিয়েছিলেন, আটকে রাখতে পেরেছিলেন? ইলেকশনে বাধা দিলে আবার পরাজিত হবেন।”
আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিচার হবে উল্লেখ করে দুদু বলেন, “শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ যে অপকর্ম করেছে তার বিচার হবেই। বাকশাল করে তো তারা রক্ষা পায়নি। রক্ষী বাহিনী গঠন করেও রক্ষা পায়নি।”
তিনি আরও বলেন, “হাসিনা স্বৈরাশাসন কায়েম করে রক্ষা পায়নি। তার বিচার হবে। শেখ হাসিনার বিচার করবে আগামীতে যে সরকার আসবে সেই সরকার। এই সরকারের আমলে বিচার শুরু হয়েছে শেষ না হলেও আগামী সরকার যে আসবে আমার বিশ্বাস সেই সরকার এসব বিচার শেষ করবে।”
দলীয় নেতাকর্মী ও গণতন্ত্রকামী জনগণের প্রতি ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে দুদু বলেন, “ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। চারদিক থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী দেশও বসে নেই।”
আওয়ামী লীগের শক্তিকে ছোট করে না দেখার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের হাতে অবৈধ টাকা ও অবৈধ অস্ত্র আছে তাই তাদেরকে ছোট করে দেখলে বিপদ হতে পারে। তাই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করি।”
বিগত শাসনামলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে হটানো হয়েছিল গণতান্ত্রিক ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। অথচ আজ একটি গোষ্ঠী, অপশক্তি সু-কৌশলে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে। বিগত ১৭ বছরের শাসনামলে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আমাদের যে আত্মত্যাগ ও সংগ্রাম, সেটিকে ধ্বংস করার জন্য একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।”
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোটের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মজুমদার, জাসাসের সাবেক সভাপতি রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী, কণ্ঠশিল্পী ও জাসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির খান, সাবেক এমপি আলহাজ্ব মোহাম্মদ ওমর ফারুক, কে এম রকিবুল হাসান রিপন, ইঞ্জি. শোয়েব কোরাইশী, এস এম কমর উদ্দিন, আমিনুল হক শাহীন এবং মহিদুল ইসলাম মামুন।