এতদিন খেলেছে আ.লীগ-যুবলীগ, এখন জনগণের খেলা শুরু: বিএনপির ফারুক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:০৪
-68bec638225a9.jpg)
আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক
এতদিন আওয়ামী লীগ-যুবলীগ ক্ষমতার খেলায় মেতে থাকলেও এখন জনগণের খেলা শুরু হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেন, “এই খেলা আল্লাহ ছাড়া কেউ বন্ধ করতে পারবে না।”
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে বিকশিত ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বৈষম্যমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তরুণ প্রজন্মের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন জয়নুল আবদিন।
নির্বাচন নিয়ে যে শঙ্কার কথা বলা হয়েছে তা দূর করার দায়িত্ব সরকারের মন্তব্য করে ফারুক বলেন, “এতদিন খেলেছে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ। শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত গুণ্ডাবাহিনী। এখন জনগণের খেলা শুরু হয়ে গেছে। এই খেলা আল্লাহ ছাড়া কেউ বন্ধ করতে পারবে না। নির্বাচন নিয়ে যে শঙ্কার কথা বলা হয়েছে, সেটা দূর করার দায়িত্ব সরকারের।
নির্বাচন নিয়ে যারা শঙ্কা তৈরি করছে তাদের কেন ধরা হচ্ছে না এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপির এই নেতা বলেন, “সরকার আপনি বসে আছেন কেন? আপনার আশপাশেই তো শঙ্কা তৈরি করা লোকগুলো বসে আছে। কারা মিছিল করে বুঝতে পারেন না? কারা মব সৃষ্টি করে নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করছে, সেটা জানতে পারেন না? আপনি কারও ব্যক্তিগত লোক না, আপনি রক্তে রঞ্জিত ইন্টেরিম গভমেন্ট।
“যেসব প্রেতাত্মা সচিবালয়, কলকাতা এবং দেশে বসে গুপ্তচরবৃত্তি করে আগামী নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করছে, এদের তালিকা অনতিবিলম্বে প্রকাশ করে আগামী নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে হবে।”
ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের জন্য ভোট চেয়ে বিএনপি চেয়াপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, “একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে ডাকসু নির্বাচনে নির্বাচিত করুন। স্মার্ট বাংলাদেশ করতেই হবে।”
আলোচনা সভায় সংগঠনটির সভাপতি ইব্রাহিম, সাধারণ সম্পাদক মোকছেদুর রহমান মুকুলসহ অনেক নেতা উপস্থিত ছিলেন।
ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল অগ্নিপরীক্ষার সম্মুখীন হচ্ছে জানিয়ে ফারুক বলেন, “আমরা আশা এবং ভরসা করব এই সরকারের ওপর, আগামীকাল যাতে ডাকসু নির্বাচনকে কেউ ব্যাহত করতে না পারে।”
জামায়াতে ইসলামীকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, “একদিকে মসজিদে মসজিদে নির্বাচনী প্রচার করবেন, অন্যদিকে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা তৈরি করবেন। কারণ আপনারা তো এখনও শঙ্কামুক্ত হতে পারেননি।”
ফারুক বলেন, “জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানকে পূর্ণ সমর্থনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে যে ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে, সেই ইতিহাসকে আরেকবার কলঙ্কিত করার জন্য হিন্দুস্তানের কলকাতায় বসে আবারও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।”
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ এখন সচেতন। আপনি একটি ওয়ার্ডের মেম্বার পর্যন্ত দখল করেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে আপনি কলঙ্ক সৃষ্টি করে গেছেন। কিন্তু জনগণের ঈমানের জোর অনেক বেশি। আপনার কোনো ষড়যন্ত্র জনগণ সফল হতে দেবে না।
ফারুক বলেন, “২০২৬ সালে সরকার ঘোষিত নির্বাচন হবে ইনশাআল্লাহ। সেই নির্বাচন শাহাবুদ্দিনের মতো হবে।”