দলের নিবন্ধন ও প্রবাসী ভোট নিয়ে ইসিতে এনসিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:১৬

ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
নিবন্ধন কার্যক্রমের অগ্রগতি ও প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার পদ্ধতি জানতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির প্রতিনিধি দল। দলটির নেতারা জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে সংলাপের স্বার্থে চলতি মাসেই নতুন দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় ইসি।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা এ তথ্য জানান। প্রতিনিধি দলে ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসাসহ তিনজন।
জহিরুল ইসলাম মুসা বলেন, “জাতীয় নাগরিক পার্টি নিবন্ধিত দল হিসেবে নিবন্ধন পাওয়ার জন্য সকল শর্ত পূরণ করেই আবেদন করেছিল। সেটি প্রক্রিয়াধীন আছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছিলাম যে সেই প্রক্রিয়াটি কোন পর্যায়ে আছে। তারা আমাদেরকে আপডেট দিয়েছেন যে, এটি ফিল্ড পর্যায় থেকে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়ে তাদের কাছে রিপোর্টগুলো আসছে। এই রিপোর্টগুলো কমপ্লাই করার পর তারা সবগুলো বিষয় নিয়ে হয়তো এ মাসের ভিতরেই সকল রাজনৈতিক দলের ব্যাপারে, শুধু এনসিপি না অন্য যে কয়টা রাজনৈতিক দল উত্তীর্ণ হয়েছিল তাদের যাদের রিপোর্টগুলো পজিটিভ আসবে তাদের সবার ব্যাপারে এ মাসের ভিতরেই একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিবে।”
তিনি আরও বলেন, “যেহেতু ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে তার আগেই সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কমিশনের একটি ধারাবাহিক ডায়লগের আয়োজন করতে হবে। সে ডায়লগের অংশ হিসেবে তারা সকল রাজনৈতিক দলের সাথে বসবেন; বিশেষ করে যারা নতুনভাবে নিবন্ধিত হবেন তাদেরসহ।”
প্রবাসীদের ভোটগ্রহণ প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে জহিরুল বলেন, “আপনারা জানেন যে জাতীয় নাগরিক পার্টির শুরু থেকেই আমরা খুবই উচ্চ কণ্ঠে প্রবাসী ভোটিংয়ের দাবি জানিয়ে এসেছিলাম। সে ব্যাপারেও আমরা একটি আপডেট জানতে চেয়েছিলাম। আমাদেরকে জানানো হয়েছে যে ইতিমধ্যে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভোটগুলো দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। সেটি কতদিন আগে এই পোস্টাল ব্যালটগুলো পাঠানো হবে এবং কী প্রক্রিয়ায় তারা আবার ভোটটি সম্পন্ন করে আবার প্রেরণ করবেন, সে বিষয়টিতে আমরা আলোচনা করেছি।”
কমিশনের ব্যাখ্যা তুলে ধরে জহিরুল ইসলাম মুসা বলেন, “কমিশন থেকে আমাদের যেটা জানানো হয়েছে যে, যারা বিদেশে বসে ভোট দিবেন এবং বাংলাদেশেও যারা নিজ সংসদীয় আসনের বাইরে থাকবেন, যারা কোন পেশাগত বা অন্য কোনো কারণে তারাও পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন। সেজন্য কমিশনের পক্ষ থেকে একটি অ্যাপ ওপেন করা হবে এবং ওখানে একটি নির্দিষ্ট সময় দেওয়া থাকবে। নিবন্ধন সম্পন্ন করলে তাদের আগে থেকেই ব্যালট পেপার পাঠানো হবে এবং ভোটিং সম্পন্ন করে আবার পোস্টের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় আসনে পাঠাবেন এবং এটি মূল ভোটের যে কাউন্ট সেটির সঙ্গে গণনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।”