সরকার নির্বাচন বানচাল করতে পারে, সন্দেহ ফারুকের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:৪০

জাতীয় প্রেস ক্লাবে অপরাজেয় বাংলাদেশ আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
আসন্ন সংসদ নির্বাচন অন্তর্বর্তী সরকার ‘বানচাল’ করতে পারে বলে সন্দেহ করছেন বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক।
বিএনপি চেয়ারপরসনের এই উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, “দেশ কোন দিকে চলছে? দেশের সার্বিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। আমার কাছে মনে হচ্ছে সরকারের দ্বারাই নির্বাচন বানচাল হয় কি না? আমরা সন্দেহ করছি না। কিন্তু সন্দেহটা এসে যায়।”
সংসদের সাবেক এই বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বলেন, “সন্দেহটা এসে যায় এই কারণে যে, আওয়ামী লীগের দোসরা এখনও বিভিন্ন অধিদপ্তরে, সচিবালয়ে বসে আছে। তাদের বিষয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাসের যে কয় তারিখে হোক না কেন, এই নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।”
জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘অপরাজেয় বাংলাদেশ’ নামের সংগঠনের ওই আলোচনা সভায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে ফারুক বলেন, “৯১ এর মতো একটি সুষ্ঠ নির্বাচন আপনি উপার দিবেন। যে নির্বাচনের জন্য, যে ভোটের জন্য আমার হাজার হাজার ছেলে কারাগারে ছিল, মায়ের বুক খালি হয়েছে। কত মামলা খেয়েছে, এক জেলা থেকে অন্য জেলায় গিয়ে রিক্সা চালিয়ে জীবন ধারণ করেছে। কবরস্থানে রাত কাটিয়েছে। হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে পুলিশের অত্যাচার থেকে বাঁচার চেষ্টা করেছে। সেই সকল নেতাকর্মীর দাবি একটাই—তারেক রহমান বলেছে একটি সুষ্ঠ নির্বাচন। দেশের মানুষ একটু সুস্থ নির্বাচন দেখতে চায়।”
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, “১৬ বছরে আমরা কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারিনি। ভোট দিতে পারিনি। সেই ভোটের জন্যই আমরা ড. ইউনূসকে সমর্থন করেছি। যাতে আমার ভোট আমি দিব, রাতে নয় দিনে দিব, সেই ভোটের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী দল ক্ষমতায় আসবে। আমাদের নেতা তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে।”
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে কোনো দিনও হতাশা ছিল না, এখনও নাই, সামনেও হবে না। হতাশা তারাই করেন, যাদের রাজনীতির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক থাকে না। যাদের কাছে দল বড় না, যারা দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে পারেন না, যারা ক্ষমতায় যেতে পারেন নাই তারা।”
“জয় পরাজয় হবেই। তবে, গণতন্ত্রের প্রতি যদি কেউ বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কোথাও কিছু করে থাকে তাহলে অন্য কথা। ডাকসু নির্বাচন কোনো জাতীয় নির্বাচন নয়। এটাতে জাতীয় নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে বলে আমি বিশ্বাস করি না,” বলেন ফারুক।
আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি বাদল সরকারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজীর সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য রহিমা শিকদার, সংগঠনটির সহ সভাপতি এম এ আজাদ চয়ন।