সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব রক্ষায় বিচার জরুরি: বিএনপি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:৪৬

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বিশ্বাস করে, দেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব রক্ষায় সংশ্লিষ্ট অপরাধের সুষ্ঠু ও নির্মোহ বিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দলটির মতে, ন্যায়বিচার শুধু অতীতের ঘটনাগুলোর শাস্তির নিশ্চয়তা দেয় না, বরং ভবিষ্যতে যেন কেউ এমন অন্যায়ের পুনরাবৃত্তি না ঘটায়, সেই নিশ্চয়তাও দেয়। আইন ও মানবাধিকারের প্রতি পূর্ণাঙ্গ শ্রদ্ধাই হতে পারে একটি শান্তিপূর্ণ, জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি।
শনিবার রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই কথা বলা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, “একটি দেশের চলা উচিত ‘ল অফ দ্যা ল্যান্ড’ অনুযায়ী। কিছু চিহ্নিত ব্যক্তির দায় যেমন কোনো প্রতিষ্ঠানের উপর চাপানো উচিত নয়, তেমনি তাদের অপকর্মের কারণে সেই প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করাও অনুচিত। একজন মানুষের কাজের ভালো-মন্দের দায়, বিশেষত গুরুতর অপরাধের শাস্তি, একান্তই তার নিজের।”
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বিএনপি ফ্যাসিবাদের পুরো সময়জুড়ে সবচেয়ে বেশি গুম, খুন ও নিপীড়নের শিকার দল হিসেবে অবশ্যই সকল মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারের পক্ষে। এখানে প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় নয়, বিবেচ্য কেবল ব্যক্তির অপরাধ ও আইনের শাসন।
বিএনপি জানায়, কোনো ব্যক্তির বিচ্ছিন্ন অপরাধের সঙ্গে দেশের সেনাবাহিনীর সম্মান, জনগণের আস্থা ও আবেগের কোনো সম্পর্ক নেই। সেনাবাহিনী একটি দেশপ্রেমিক বাহিনী এবং এর প্রতিটি সদস্য দেশের গর্বিত সন্তান।
বিবৃতিতে বলা হয়, “অধিকাংশ সেনা সদস্য নিশ্চিতভাবেই মন থেকে চান, সীমা লঙ্ঘনকারীরা বিচারের মুখোমুখি হোক, যাতে কোনো সরকার আর কখনো সেনাবাহিনীর কাছে গুম-খুনের মতো অন্যায় নির্দেশ দিতে না পারে। সর্বজনীন এই আকাঙ্ক্ষার সাথে বিএনপি শতভাগ একমত।”
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ শাসনামলে সংঘটিত গুমের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) চার্জশিটে নাম আসা ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে আরও একজন অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর) থাকা কর্মকর্তা আছেন।
তবে অভিযুক্তদের মধ্যে মেজর জেনারেল কবির নামে একজন কর্মকর্তা গত ৯ অক্টোবর থেকে ‘নিখোঁজ’ রয়েছেন, এ তথ্য জানিয়েছে সেনাবাহিনী। শনিবার বিকালে ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মেসে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান।