
দেশের রাজনীতি আরেকটি নতুন দলের আত্মপ্রকাশ হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ, মার্কসবাদী) থেকে বেরিয়ে আসা একটি অংশ নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ লক্ষ্যে আপাতত তারা একটি ‘কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরাম’ গঠন করেছে।
শনিবার (১৩ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তীকে সমন্বয়ক করে ৩৯ সদস্যবিশিষ্ট এ ফোরাম বর্তমান পরিস্থিতিতে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনার প্রাদুর্ভাব ও রাষ্ট্রীয় চরম অব্যবস্থাপনার ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত। এমন পরিস্থিতিতে দেশের শ্রমজীবী মানুষের পাশে সাধ্যানুযায়ী দাঁড়ানো, তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা এবং বিপ্লবী পার্টি গড়ে তোলার অভ্যন্তরীণ সংগ্রাম পরিচালনার জন্য একটি ‘কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরাম’ গঠন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, করোনার আগেই নতুন বিপ্লবী দল গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। বিদ্যামান অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে তা শুরু করা সম্ভব হয়নি। এরমধ্যে পরিস্থিতি কখন স্বাভাবিক হবে তাও বলা যাচ্ছে না। তাই এই পরিস্থিতির মধ্যেই দল গড়ে তোলার প্রক্রিয়াটি এগিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টা থাকবে। ভবিষ্যতে সারাদেশের কর্মী, সমর্থক, দরদীদের সঙ্গে মতবিনিময় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব নতুন পার্টি প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হবে।
এ বিষয়ে ‘কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামের’ সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘আমরা কিছু কমরেড যারা বাসদ মার্কসবাদীতে ছিলাম। বাসদ পার্টিটা যেভাবে গড়ে তোলার কথা ছিল, একটা বিপ্লবী পার্টি হিসেবে তা গড়ে উঠেনি।বিষয়টা নিয়ে দলের ভেতর তিন বছর ধরে কথা-বার্তা চলছিল। শেষ মুহূর্তে আমাকে ছাড়াও ১৬ জনকে বের করে দেয়া হয় দল থেকে।
তিনি বলেন, আমরা যেহেতু মনে করি, পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় মানুষ তার মনুষত্ব নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবে না। সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য লড়াই করতে হবে। তার জন্য পার্টিও লাগবে। তো আমরা ওই পার্টিটাকেই পুনর্গঠিত করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা যখন হলো না, তখন আমরা ওই ১৬ জনসহ আমি একটি পার্টি গড়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি।’
তবে রাজনৈতিক দল হিসেবে কবে আত্মপ্রকাশ করবে তা এখনো বলা যাচ্ছে না বলে তিনি জানান। অন্যদিকে পার্টির কী নাম হবে, সেটাও এখনো নির্ধারণ করা হয়নি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এর আগে জামায়াত থেকে বের হয়ে আসা সংস্কারপন্থীদের আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) নামে একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হয়। অন্যদিকে এরই মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নুরুল হক নুরুও তরুণদের নিয়ে রাজনীতি দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন।